যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা বাড়াতে চায় না। তবে তেহরান হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে রক্ষা করা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
সোমবার ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী তামিমের সঙ্গে বৈঠকে ব্লিঙ্কেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা উত্তেজনা চাই না, তবে আমরা ইসরাইলের প্রতিরক্ষা এবং এই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের সুরক্ষায় সমর্থন অব্যাহত রাখব। ইরানের কর্মকাণ্ডকে তিনি নজিরবিহীন উল্লেখ করেন।
গত শনিবার ইরান ইসরাইলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। তবে এর বেশির ভাগই ইসরাইলে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়। আর এটি সম্ভব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান ও অন্য মিত্রদের সহায়তায়।
ইরানের দাবি, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে প্রাণঘাতী হামলার বদলা হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের অভিযোগ, ইসরাইল সিরিয়ায় ওই হামলা চালিয়েছিল।
ব্লিঙ্কেন বলেন, তিনি ৩৬ ঘণ্টা যাবত আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করতে চেয়েছিলেন, যা এ অঞ্চলে সংকট ছড়িয়ে পড়া রোধ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিসর, সৌদি আরব, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার উদ্বিগ্ন যে এ অঞ্চলকে ‘একটি বড় ধরনের যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে’। তিনি সব পক্ষকে ‘আত্মসংযমী’ হওয়ার আহ্বান জানান।
হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠককে সামনে রেখেই ব্লিঙ্কেন ও ইরাকের উপপ্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকটি হয়।