রাজশাহী মহানগরীতে দুইজন টিকেট কালোবাজারিকে ধরেও ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বোয়ালিয়া থানার এসআই আবু তাহেরের বিরুদ্ধে।
গত শনিবার ১৩ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন শিরোইল ঢাকা বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন বোয়ালিয়া থানাধীন শিরোইল বাস্তহারা এলাকার রনি অরফে দাতাল রনি ও চন্দ্রিমা থানাধীন হাজরাপুকুর এলাকার গোলাম মুস্তফা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিকেট কালোবাজারি চক্রের এক সদস্য জানান, গত ১৩ এপ্রিল শিরোইল ঢাকা বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে প্রথমে দাতাল রনিকে আটক করে এসআই আবু তাহের। পরে রনি মুস্তফাকে দেখিয়ে দিলে তাকেও আটক করা হয়। এসময় অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা তাদের ওয়াটসঅ্যাপ থেকে ট্রেনের অসংখ্য টিকেট জব্দ করে পুলিশ।
আটকের পর তাদের দুইজনকে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মঠপুকুর এলাকায়, তারপর গনপাড়া তুলা পট্টিতে নিয়ে গিয়ে সেখানে চলে দেনদরবার। প্রথমে ৪০ হাজার টাকায় মিটমাট হয়। পরে শিরোইল কলোনি এলাকার কুখ্যাত দালাল আলিম এঘটনায় অংশগ্রহন করলে আরও ২০ হাজার টাকা বৃদ্ধি হয়। সর্ব মোট ৬০ হাজার টাকা নগদে ও বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করার পর ঐদিন গভির রাতে রনি ও মুস্তফাকে ছেড়েদেন এসআই আবু তাহের।
চক্রের আরেক সদস্য জানান, রনি ও মুস্তফাকে আটকের সময় মুস্তফার বিকাশ একাউন্ট থেকে ২০ হাজার ও রনির একাউন্ট থেকে ৭ হাজার টাকা বের করে নেওয়া হয়।
পরে আমি মুস্তফার একাউন্টে আরও ২০ হাজার টাকা বিকাশ করি। এছাড়াও একটি নগদ এজেন্ট নম্বরে ৮ হাজার এবং আলিম দালালের বিকাশে ৫ হাজার প্রদান করি। এভাবে তাদের দাবিকৃত মোট ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পর দুইজন টিকেট কালোবাজারিকে মুক্তি দেন এসআই আবু তাহের।
এদিকে মুস্তফা ও রনির ওয়াটসআপে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা অসংখ্য ট্রেনের টিকেট জব্দ হলেও তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এস আই আবু তাহের।তিনি বলেন তাদের কাছ থেকে কোন টিকেট পাওয়া যায়নি। এছাড়া টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিকনা বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: হুমায়ন কবির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এঘটনা সঠিক হলে এসঅই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।