রাজধানীর রামপুরা এলাকায় মূল সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকেরা। আজ সোমবার সকাল ৯টা ২০ থেকে ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত রামপুরা বেটার লাইফ হাসপাতাল ও আবুল হোটেলের সামনে প্রায় আড়াইশত চালক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ থেকে তারা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিয়েছেন। এ সময় রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে চালকেরা রাস্তা ছেড়ে চলে গেলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, সকালে তারা রাস্তায় বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে জড়ো হয়েছিল। আমরা তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।
কোন আশ্বাসে তারা রাস্তা ছেড়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ট্রাফিক পুলিশ তাদের রিকশা আটকায়, রেকার দেয় এসব অভিযোগ তুলেছিল তারা ৷ আমরা বলেছি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে আমরা এসব সমস্যার সমাধান করে দেব। তখন তারা সড়ক ছেড়ে চলে যায়৷
আবুল হোলেটের সামনে বিক্ষোভরত চালকেরা অভিযোগ করেন, আমরা রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারি না৷ পুলিশ ধরে, টাকা নেয় আবার মাঝে মাঝে ব্যাটারি খুলে রাখে, রিকশা ভেঙে দেয়। এইজন্য আমরা মূল সড়কে উঠি না। ভেতরের রাস্তা বা গলিতে রিকশা চালাই ৷ এখন পুলিশ গলি গলিতে গিয়ে রিকশা ধরে। আমরা তাহলে কীভাবে চলব। এভাবে তো জীবন চলে না। এটার একটা বিহিত হওয়া দরকার। এই সময় সমবেত অন্য চালকেরা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।
বেলা ১১টা থেকে রাস্তায় যানচলাচল স্বাভাবিক আছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ ট্রাফিক বিভাগের রামপুরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা চালকরা এক ঘণ্টার বেশি সময় সড়কে ছিল। পরে তারা পুলিশের আশ্বাসে উঠে যায় ৷ তখন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকলেও তারা উঠে যাওয়ার পর রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেছে এবং যান চলাচল অব্যাহত আছে।