বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণায় এক প্রার্থীকে বরাদ্দ করা নমুনা প্রতীকের সঙ্গে ব্যালট পেপারে মিল নাই। এ ঘটনায় ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ইফতারুল ইসলাম মামুন ভোট স্থগিতের আবেদন করে। এতে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি আমলে নিয়ে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে ।
জেলার রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইফতারুল ইসলাম মামুন আইসক্রিম পথিক নিয়ে । তিনি বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের দিন নমুনা হিসেবে কাঠিওয়ালা আইসক্রিমের ছবি দেওয়া হয়। সেই প্রতীক নিয়েই আমি প্রচারণা চালাই। আজ ভোট শুরু হওয়ার পর দেখলাম ব্যালটে বরাদ্দ প্রতীকের সঙ্গে মিল নেই। সেখানে ফুলের মতো দেখতে কুলফি আইসক্রিমের ছবি দেওয়া হয়েছে। এতে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তাঁরা যে প্রতীক দেখে ভোটকেন্দ্রে গেছেন, ব্যালটে সেই প্রতীকের ছবি খুঁজে পাচ্ছেন না। যাঁরা লেখাপড়া জানেন না, তাঁরা তো নাম পড়তে পারেন না, প্রতীক দেখে ভোট দেন। কিন্তু ব্যালটে তাঁরা আমার প্রতীক চিনতে পারছেন না।
ইফতারুল ইসলাম মামুন আরও বলেন, ‘আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অভিযোগ করেছি। তিনি বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানিয়েছেন বগুড়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।’
বগুড়ার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ এ বিষয়ে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যা অধিক হওয়ায় নির্বাচন কমিশন থেকে অতিরিক্ত তিনটা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে শুধু আইসক্রিম প্রতীকের নাম ছিল। কিন্তু নমুনা ছবি ছিল না। এ কারণে সচারাচর যে আইসক্রিম হয় সেই ছবি দিয়ে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যালটে ছাপা হয়েছে কুলফি আইসক্রিমের ছবি। যেহেতু একজন প্রার্থী আপত্তি জানিয়েছেন একারণে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। তাছাড়া মহিলা ভাই এর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন চলবে।