২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:০৩:২৫ অপরাহ্ন
রাজশাহীর সবচেয়ে কম বয়সী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৫-২০২৪
রাজশাহীর সবচেয়ে কম বয়সী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি

ষষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৯ মে রাজশাহীর দুটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান ও মহিলা ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৩ জন।

এরমধ্যে পবায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিল ৮ জন।

মোহনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিল ৫ জন।

সম্প্রতি রাজশাহীর আরো ৫ টি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে। ওইসব উপজেলাতেও প্রার্থীর সংখ্যা কম ছিল না। ইতিমধ্যে রাজশাহীর ৭ টি উপজেলায় নির্বাচন হয়ে গেলো। বাকি থাকলো দুটি। এই দুটি উপজেলাতে আগামী ৮ জন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এবার উপজেলা নির্বাচনে রাজশাহীতে বয়স্ক প্রবীন রাজনীতিবিদদের অংশ গ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু গত ২৯ মে পবা-মোহনপুর উপজেলায় প্রবীন-প্রবীন মিলে হয়েছে নির্বাচন।

বিশেষ করে পবা ও মোহনপুরে দুজন প্রার্থী ছিল নবীন। তারা হলেন মোহনপুরের হাবিবা বেগম ও পবার পপি খাতুন। তারমধ্যে হাবিবা বেগমের চেয়ে পপি খাতুন ছিলেন যেমন কম বয়সী তেমনি নবীন ও তরুন।

পবা উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন্য প্রার্থীর মধ্যে পপি খাতুনের বয়স ছিল অন্য প্রার্থীদের চেয়ে প্রায় অর্ধেকেরও কম। এতো কম বয়সে এখন পর্যন্ত উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীতে কোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নি। কম বসয়ী প্রর্থীর মধ্যে রাজশাহীতে পপি খাতুনই প্রথম।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি খাতুন পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। সাথে বিভিন্ন ধরনের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজ করেন তিনি। পড়াশোনা ও সমাজ সেবা নিয়েই কাটে তার দিন। সেই জায়গা থেকে প্রথমবারের মত পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী প্রথমবারই বাজিমাত করেছেন।

তার সাথে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তারা ছিলেন যেমন প্রবীন, তেমনি রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। বলাই যায় পপি খাতুন নানি দাদির সাথে যুদ্ধ করেই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। যা রাজশাহীর ইতিহাসে বিরল।

এতো কম বয়সে রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত কেউ ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন নির্বাচিত হন নি। এমন কি ওয়ার্ড সদস্যও পর্যন্ত নেই। সেই জায়গা থেকে খুব অল্প বয়সে চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ের মালা পরেছেন পপি খাতুন।

ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা গেছে, পপি খাতুনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা মোটামুটি হাড্ডাহাড্ডি লাড়াই করেছেন। পবা উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৪ জন প্রার্থীর ভোট খুব কম বেশি ছিল। প্রায় সবাই ২০ হাজারের উপরে ভোট পেয়েছেন। পপি খাতুন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি থেকে ২ হাজার ২৬১ ভোট বেশি পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত মোট ভোট ২৪ হাজার ২৭৯।

অন্য উপজেলাগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর চেয়ে বিজয়ী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান থাকে অনেক বেশি। কিন্তু পবা উপজেলার মহিলা ভাইস পদের প্রার্থীদের ভোটের অঙ্কটা মেলাতে গেলে বোঝা যায় তারা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছেন। বিশেষ করে একজন তরুন ও নবীন প্রার্থী হিসাবে পপি খাতুন অভিজ্ঞ প্রার্থীদের টেক্কা দিয়ে দুই হাজার বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিও একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।

সেই চ্যালেঞ্জের জায়গা থেকে নতুন এসেই জয়ের মালা গলায় পরলো পপি খাতুন। পপির জয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীতে একটি স্মরণীয় ঘটনা। যদিও মানুষের ভালবাসাই তার জয়ের পথ সুগম করেছে। পবার সাধারণ ভোটাররা বলছেন, তরুণ ও নবীন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি খাতুন জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কতটুকু সাফল্য অর্জন করবেন সেটি এখন দেখার বিষয়।

শেয়ার করুন