ব্যক্তি পুলিশের অপরাধের কোন দায় পুরো বাহিনী কখনওই নিবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমীতে ১৬৪তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘‘পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব জনগনকে সেবা করা, জনগনকে ভালবাসা, দুর্দিনে জনগনকে সাহায্য করা। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগনের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া। পুলিশ বাহিনী কোন খারপ কাজ করে খবরের শিরোনাম হতে যায় না বরং সাফল্যগাঁথার মাধ্যমে সংবাদের শিরোনাম হতে চায়।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের পুলিশ বাহিনীকে জনগনের পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৯ মে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। বর্তমান সরকারের সময় পুলিশের আধুনিকায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের পুলিশের সমপর্যায়ে উন্নীত করতে পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি ও সাংগঠনিক কাঠামোতে ক্যাডার পদসহ বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।’’
তিনি আরও বলেন, পুলিশ সদস্যদের আধুনিকায়নে অপরাধী সনাক্তকরণ ও মামলা তদন্তে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের লক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার সেন্টার, ডিএনও ল্যাব, পুলিশ সদস্যদের কল্যানের জন্য পুলিশ কল্যান ট্রাষ্ট, পুলিশের সেবা জনগনের দৌরগোড়ায় পৌছে দিতে বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং গঠন করা হয়েছে। জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ নিমূলে পুলিশ প্রশংসনীয় ভুমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদায় ট্রেইনি রিক্রট কনস্টেবল (টিআসি) ১৬৪তম ব্যাচের ৪৫৩ জন শিক্ষানবীশ কনস্টেবল ছয় মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্টত্ব অর্জনকারী তিনজনকে ক্রেস্ট প্রদান করেন আইজিপি। এদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন সিয়াম সিদ্দিকী সাগর।
সমাপনী কুচকাওয়াজে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদার প্রিন্সিপ্যাল ও এআইজি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, পুনাকের সভানেত্রী বেগম জীশান মীর্জা, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, চারঘাট পৌরসভার মেয়র একরামুল হকসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা।