চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না ওএমএস-এর চাল ও আটা। চাল বরাদ্দ একেবারে বন্ধ থাকায় খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি (ওএমএস) বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আটার বরাদ্দ থাকলেও তা অপর্যাপ্ত। যদিও ডিলারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী মাস থেকে খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যের এ চাল বিক্রি হবে।
বর্তমানে চট্টগ্রামের ২৩টি পয়েন্টে খোলাবাজারে শুধু আটা বিক্রি চলছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টিতে ওএমএস-এর কোনো ডিলারই নেই। প্রায় ৭০ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমঘন এলাকা হলেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় নিম্ন-আয়ের বিপুলসংখ্যক মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার বাইরে থেকে যাচ্ছে। আবার বিক্রয়কেন্দ্রগুলোয় চাল কিনতে এসে নিম্ন-আয়ের লোকজন ফেরত যাচ্ছে। ফলে নিম্ন-আয়ের মানুষের মাঝে হাহাকার দেখা দিয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ তাদের খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় আনতে পারছে না। দেড় বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ওএমএস-এর চাল ও আটার বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। বরাদ্দের পাশাপাশি বিক্রির স্পট বাড়ানোরও প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সাড়া মেলেনি।
গত কয়েকদিনে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে চট্টগ্রামে খোলাবাজারে চাল বিক্রির (ওএমএস) ডিলারদের দোকানে মানুষের ভিড় বেড়েছে। ওএমএস-এর দোকানে এখন শুধু নিম্নবিত্তরাই নন, মধ্যবিত্ত লোকজনও লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনছেন। অনেক সময় বৃষ্টি কিংবা তীব্র রোদ উপেক্ষা করে নগরীতে ওএমএস-এর আটা কিনতে ডিলারের দোকানে ভিড় করেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি আটা কিনতেই এই ভিড়। যদিও আগে ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি করে চালও কেনা যেত