০৩ জুলাই ২০২৪, বুধবার, ০১:১২:২০ অপরাহ্ন
আন্দোলন ইস্যুতে মতৈক্য হয়নি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৬-২০২৪
আন্দোলন ইস্যুতে মতৈক্য হয়নি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে অনেকটা ধীরগতিতে চলছে বিএনপি। গত আন্দোলনে কার্যত ব্যর্থতার পর হতাশা কাটিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে দলটি নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির আন্দোলনকে এখন বেশি গুরুত্ব দিয়ে ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলায় সমাবেশ ডেকেছে। নানা ইস্যুতে নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার চেষ্টা করলেও সমমনাদের সঙ্গে যুগপৎভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। অভিন্ন দাবিতে একই কর্মসূচি নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছাতে পারছেন না তারা। যুগপতে জামায়াতে ইসলামীকে যুক্ত করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে শরিক কয়েকটি দল। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী কর্মকৌশল নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবে বিএনপি। আগামী মাসের শুরুর দিকে এ বৈঠক করার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির অন্যতম নেতা ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘সমমনাদের সঙ্গে বৈঠক চলমান একটি প্রক্রিয়া। যুগপতে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আছে। কোনো সমস্যা নেই। সব দলেরই দাবি বর্তমান স্বৈরাচার ও অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। আবারও সমমনাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। তাদের (সমমনাদের) সঙ্গে কথা বলে বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’

সরকারবিরোধী আন্দোলন নতুন করে গড়ে তোলা, সেটার কর্মকৌশল নির্ধারণ এবং নতুন কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ১২ থেকে ১৬ মে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে যুগপতের শরিকদের কাছ থেকে প্রস্তাব ও মতামত নেয় বিএনপি। ওই ধারাবাহিক বৈঠকে নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দল বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছে ৭ জানুয়ারি মানুষ যে গণঅনাস্থা জানিয়েছে তা ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ব্যাপারে তাদের রোডম্যাপ আছে কিনা? দলগুলো বলেছে, বিএনপি যদি চলতি বছরের মধ্যেই সরকারবিরোধী বড় আন্দোলনের কথা চিন্তা করে তাহলে তার কৌশল, ধরন ও কাজের পদ্ধতি এক রকম হবে। আর যদি আরও সময় নিয়ে বড় আন্দোলন করতে চায় সে পদ্ধতি হবে ভিন্ন। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনার কথা সমমনাদের জানায়নি বিএনপি। এছাড়া আগামী দিনে যুগপৎ আন্দোলনে শরিকদের বেশিরভাগ দলই জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে চাইছে। তবে গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারা জামায়াতের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাদের মতে, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে যুগপতের বাইরে থেকে জামায়াত যেভাবে একই দিনে অভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে, আগামী দিনেও একই ধারা থাকুক। গণতন্ত্র মঞ্চের কাছে এসব ইস্যুসহ সামনের দিনে করণীয় সম্পর্কে একটি প্রস্তাবনা চেয়েছিল বিএনপি। গণতন্ত্র মঞ্চ তা ইতোমধ্যে দিয়েছে বলে জানা গেছে। সামনে শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে মূলত আন্দোলন ও জামায়াত ইস্যুটি বেশি প্রধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন