২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৩:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন
যে কারণে লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করলেন সাবিনা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৬-২০২৪
যে কারণে লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করলেন সাবিনা

দিন কয়েক আগেই যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। আগামী ৪ জুলাই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।  যা প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে আগে। এর আগে অক্টোবর নাগাদ ভোট হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। ভোটের সময়, নির্বাচনি ইস্যুসহ একাধিক কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন।


এদিকে এক নির্বাচনি বিতর্কে অংশ নিয়ে বাংলাদেশিদের কটাক্ষ করে তোপের মুখে পড়েছেন লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টার্মার। 


কটাক্ষের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে দলটির ডেপুটি লিডার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবিনা আক্তার। খবর বিবিসির।


তিনি বলেছেন, ‘দলের নেতা যখন আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে, আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে, তখন আমি আর দল নিয়ে গর্ব করতে পারি না।’


স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক ‘ডেইলি সান’ বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  পাঠকদের এক প্রশ্নের জবাবে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টার্মার বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যদি কেউ আসে, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। কারণ, বর্তমান সরকারের তেমন কোনো প্রক্রিয়া নেই। ক্ষমতায় এলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 


বাংলাদেশি কমিউনিটিকে নিয়ে লেবার নেতার এমন মন্তব্যকে বর্ণবাদী আখ্যা দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপি জর্জ গ্যালাওয়ে। এ ছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার এমপি রুশনারা আলী ও আফসানা বেগম নিজ দলের নেতার এমন বেফাঁস মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।


পদত্যাগপত্রে সাবিনা আক্তার লিখেছেন, ‘আমি লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলের প্রথম নারী স্পিকার এবং লেবার পার্টির একজন গর্বিত সদস্য ছিলাম। তবে আমি এই দলটি নিয়ে আর গর্ব করতে পারি না, যখন দলের নেতা আমার সম্প্রদায়কে একঘরে করে দেয় এবং আমার বাংলাদেশি পরিচয়কে অপমান করে।’


তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি সারা জীবন দলকে রক্ষা করেছি এবং এর জন্য খুব গর্বিত ছিলাম। কিন্তু এটা স্পষ্ট, আমার এবং আমার সম্প্রদায়ের কাছে এটি (দলের নেতার মন্তব্য) গ্রহণযোগ্য নয়।’


শেয়ার করুন