শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনেই রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সংঘর্ষ। এর মধ্যে নাশকতাকারীদের সন্ত্রাসী-জঙ্গি আখ্যায়িত করে তাদের প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
দলীয় এই অবস্থান ছাড়াও নাশকতাকারী সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে গতকাল রোববার নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভার পর তিনি এসব কথা বলেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন যারা নাশকতা করছে, তারা কেউই ছাত্র নয়। তারা সন্ত্রাসী।’
এই অবস্থায় আজ সোমবার সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকায় আনতে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই মার্চ আগামীকাল মঙ্গলবার হওয়ার কথা থাকলেও তা এক দিন এগিয়ে আনা হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সরকারপ্রধান ও দলীয় প্রধানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আন্দোলনকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তাঁরা গতকাল বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা শুরু করেছে। তাদের মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ করা হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে শক্ত হাতে দমন করা হবে।