দ্বিতীয় দফায় দেশ স্বাধীন করে সারা বিশ্বে প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ বাহিনীর অনুপস্থিতিতে বাহিনীটির শূন্যতা পূরণে দেশব্যাপী কাজ করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন তারা।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম, রাত জেগে সরকারি স্থাপনা ও সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় পাহারা দেওয়ার বিষয়গুলো দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আর রাজশাহীতে চিড়িয়াখানার দেড় শতাধিক হরিণ রক্ষায় রাত জেগে শিক্ষার্থীরা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে, অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী চিড়িয়াখানার ১৪০টি হরিণ পাহারা দিতে এর চারপাশে অবস্থান নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সেখানে রাত জেগে টহলে ছিল সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
রাত জেগে হরিণ পাহারা দেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হয়। তাদেরই একজন আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা দেশের তরুণ প্রজন্ম স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছি। এই পতন ঘটাতে গিয়ে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী শরীরের তাজা রক্ত জমিনে ঢেলে দিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। নির্বিচারে পুলিশ গুলি করেছে অথচ দেশ স্বাধীনের পর তারাই আবার মাঠে নেই।