১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:২২:২০ পূর্বাহ্ন
আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে ছাড় নেই : আসিফ মাহমুদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৮-২০২৪
আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করলে ছাড় নেই : আসিফ মাহমুদ

সচিবালয়ে আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ার দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। 


রবিবার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।


পোস্টে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘৫০ এর অধিক ছাত্র আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে। ৫ জন গুরুতর আহত তবে শংকার বাইরে। সাংবাদিক আসিফ হিমাদ্রিকেও ছাড়েনি আনসারের পোশাকে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা। 


আড়াইটার দিকে আনসার সদস্যদের উদ্দেশ্যে সরাসরি বক্তব্য দেন নাহিদ ভাই। তারপর তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বসে ‘বাধ্যতামূলক ছুটি বাতিলের’ দাবিটি তাৎক্ষণিক মেনে নিলে সেখানেই প্রেস ব্রিফিং করে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন আনসার আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। আলোচনার সময় আন্দোলনের ভিতরে অনুপ্রবেশকারী এবং উগ্র মানসিকতার কিছু উস্কানিদাতা আছে বলে জানিয়েছেন তারা। 


আন্দোলন স্থগিত করে সাধারণ আনসারদের মূল অংশটি চলে যায়। সারাদেশেও আন্দোলন স্থগিত করে তারা। তারপরও ৬ টা থেকে আরেকটি অংশ সচিবালয়ের গেটগুলো অবরুদ্ধ করে রাখে, এবং ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এর আগেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে যমুনায় চলে গিয়েছিলাম আমি।


পরে জানতে পারি গণঅভ্যুত্থানের আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলতে ও আনসারদের আন্দোলনে সৃষ্ট যানজটে ত্রাণ বাহী ট্রাক আটকে পরার বিষয়ে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কথা বলতে এসে আটকা পরেন সমন্বয়ক সার্জিস ভাই আর হাসনাত ভাই। এছাড়াও ৭ জন উপদেষ্টাও আটকে ছিলেন সচিবালয়ে। 


আন্দোলনের সাংবিধানিক অধিকারের কথা চিন্তা করে এতদিন সরকার শক্ত অবস্থান নেয়নি। তবে আন্দোলনের নামে বন্যার্তদের ত্রাণ আটকে, সচিবালয়, যমুনা ঘেরাও করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আর ছাড় দেওয়া হবে না। 


জাতীয় স্বার্থের আন্দোলন করে আমাদের সহস্রাধিক শহীদ হয়েছেন। জীবন ও রক্তের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। এটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ব্যক্তি স্বার্থের দাবিতে এসে বিশৃঙ্খলা করে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া যাবে না।


আন্দোলন হবে যৌক্তিক দাবিতে এবং নিয়মতান্ত্রিক ভাবে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত, ইন্ধনদাতা সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


শেয়ার করুন