২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:২০:৩৫ অপরাহ্ন
কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মারধরে জড়িত চবির ৬ কর্মচারী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৯-২০২৪
কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মারধরে জড়িত চবির ৬ কর্মচারী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অশ্লীল গালিগালাজ, উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস ও মারধরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন ছয় কর্মচারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত আছেন। 


শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা দুপুরের শাটল ট্রেন একত্রিত হলে সেখান থেকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের নেতারা সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে মারধর ও ট্রেন থেকে জোরপূর্বক বের করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। সেখানে দ্বিতীয় দফায় তাকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। শিক্ষার্থীদের অন্য একটি দল রাফিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারধরের শিকার হন তারা। সেই হামলায় কয়েকজন কর্মচারীও অংশ নেন। তাদের হামলায় একজন শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হন। এর আগের দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে এক কর্মচারীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় শিক্ষার্থীদের ওপর।


এসব ঘটনায় ছাত্রলীগের সঙ্গে মিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় কর্মচারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং উস্কানি দিয়েছেন বলে প্রমাণ মিলেছে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে তাদের সনাক্ত করা হয়েছে। 


শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত এই ছয় কর্মচারী হলেন, উপাচার্য অফিসের ঊর্ধ্বতন সহকারী সালেহ আকরাম বাপ্পি, শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শরিফ উদ্দিন, অতীশ দীপঙ্কর হলের উচ্চমান সহকারি ইশতিয়াক হোসেন শামীম, মেরিন সাইন্স বিভাগের সাদ্দাম হোসেন, চবি মেডিকেলের উচ্চমান সহকারী তৌহিদুল ইসলাম জিমেল ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের উচ্চমান সহকারী সোয়াইবুল ইসলাম মাসুদ। 


এর মধ্যে বাপ্পিকে শহিদ মিনারে শিক্ষার্থীদের মারধর করতে দেখা যায়,  মেয়েদের অশ্লীল গালিগালাজ ও মারধর করতে দেখা যায় শরিফ উদ্দিনকে এবং শামীমকে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জামায়াত শিবির ট্যাগ দিয়ে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়। 


শরিফ উদ্দিনের কাছে মারধর ও গালিগালাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের নিষেধ করার সত্ত্বেও নেত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিল। আমরা তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেছিলাম। কাউকে মারধর করা হয়নি।


একইভাবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সালেহ আকরাম বাপ্পি। তার দাবি সেদিন শহিদ মিনারে ছিলেন তবে কারও সাথে সংঘর্ষ বা মারধর করেননি।


শেয়ার করুন