২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৮:০৭:১১ পূর্বাহ্ন
টেলিযোগাযোগ ও আইসিটিতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ‘অনিয়ম’: নাহিদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৯-২০২৪
টেলিযোগাযোগ ও আইসিটিতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ‘অনিয়ম’: নাহিদ

সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি বিভাগে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও মানুষ ‘আশানুরূপ ফল পায়নি’ এবং এক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।


সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশের আগের অবস্থান তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন।


উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০১০ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এর ফল পায়নি দেশের মানুষ। টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে ২০১০-২০১১ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়, যার মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নিয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।


এরপর‌ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সের জুন, ২০২৪ অনুযায়ী বাংলাদেশ ১০০ মধ্যে ৬২ স্কোর করেছে। এক্ষেত্রে মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম ও ভুটানের পরে বাংলাদেশের অবস্থান। ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স মে, ২০২৪ এর ইন্টারনেট গতির তালিকায় ১৪৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। এক্ষেত্রে কেনিয়াও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সূচকেও বাংলাদেশ অবস্থান ১০৮; তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, রুয়ান্ডা, ঘানাও বাংলাদেশের ওপরে।


আইএমএফের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতি সূচকে জুন, ২০২৪-এ ১৭৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩তম, তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, রুয়ান্ডা, ঘানাও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।


শেয়ার করুন