আলু ও পেঁয়াজের সঙ্গে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় কীটনাশক আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। এই শুল্কহ্রাস আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক প্রজ্ঞাপনে শুল্ক কমানোর তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আলু আমদানিতে যে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আছে, তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে পেঁয়াজের ওপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পৃথক আরেক প্রজ্ঞাপনে কীটনাশকের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং তার সঙ্গে সব নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এই শুল্কছাড় সাময়িক সময়ের জন্য জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আলু ও পেঁয়াজের সিংহভাগ চাহিদা অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাধ্যমে মেটানো হয়। আমদানি শুল্কহার কম থাকলে দেশীয় উৎপাদকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া অব্যাহত রাখতে এই শুল্কহ্রাস আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, এনবিআরের এই ব্যবস্থার কারণে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে বলে এনবিআর আশাবাদী। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।
পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে জুলাই ও আগস্ট মাসে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে। এ অবস্থা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে এনবিআরকে অনুরোধ করলে তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়।