তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে। সেই সঙ্গে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে লোডশেডিং। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের অবস্থা বেড়েছে। বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎ বিক্রয় বাবদ বকেয়া অর্থ আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে তাগাদা দিচ্ছে ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ। গ্রুপের কর্মকর্তাদের দাবি, বাংলাদেশের কাছে তাদের পাওনা বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটি ডলার।
বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় এক হাজার ৮৭৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দেশে গড়ে এক হাজার ২৯১ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
পিজিসিবির তথ্যমতে, সোমবার বিকাল ৩টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৭৮৮ মেগাওয়াট। দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াট।জানা গেছে, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তিন হাজার ৫৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ আছে। জ্বালানি সংকটে দেশে ছয় হাজার ২৮৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। বিদ্যুতে প্রতিদিন গড়ে ৮৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস দেওয়া হচ্ছে, যা এপ্রিলে ছিল ১৩৫ কোটি ঘনফুট। সামিটের এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় গ্যাসের সরবরাহ কমেছে। পেট্রোবাংলা প্রতিদিন সরবরাহ করছে ২৫৯ ঘনফুট গ্যাস।
জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কমেছে। ত্রিপুরা থেকে ঘণ্টায় ১৬০ মেগাওয়াটের স্থানে ৬০ থেকে ৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের সরকারি-বেসরকারি খাত থেকে ভেড়ামারা দিয়ে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা থাকলেও মিলছে ৮৮০ মেগাওয়াট। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও ৪০০ মেগাওয়াট কম আসছে।