গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের বিশেষভাবে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই সতর্কতায় শিথিলতা এসেছে। লেভেল ফোরের (চতুর্থ ধাপ) সতর্কতা কমিয়ে লেভেল থ্রিতে (তৃতীয় ধাপ) নামিয়ে আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজেও নির্দেশনাটি শেয়ার করা হয়েছে।
'নাগরিক অস্থিরতার' কারণ উল্লেখ করে কিছু পরামর্শ মেনে বাংলাদেশ ভ্রমণ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে নির্দেশনায়। মার্কিনিদের সব ধরনের জমায়েত, বিশেষ করে রাজনৈতিক জমায়েতগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
কিছু জেলায় ভ্রমণ করতে নিজ নাগরিকদের বারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাস, অপহরণ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম জেলায় (সম্মিলিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে পরিচিত) ভ্রমণ করবেন না।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর উল্লেখ করেছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের নাগরিক অস্থিরতার পর থেকে সহিংস সংঘর্ষ অনেকাংশে শেষ হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে। মার্কিন নাগরিকদের সব ধরনের জমায়েত, এমনকি শান্তিপূর্ণ জমায়েত এড়িয়ে চলার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভ্রমণকারীদের জনাকীর্ণ অঞ্চলে পকেটমারের মতো ছোটখাটো অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। ছিনতাই, চুরি, হামলা এবং অবৈধ মাদক পাচারের মতো অপরাধগুলো বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোতে হতে পারে। তবে জাতীয়তার কারণে বিদেশীদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে- এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। এই অপরাধগুলো সময় এবং অবস্থানের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পরদিনই মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে চতুর্থ ধাপের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা হয়। সেই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, বেসামরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন না।