ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপে রাজধানী এবং এর আশপাশে বুধবার সকাল থেকে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কাজলা থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত হানিফ ফ্লাইওভার পার হতে আগে যাত্রীবাহী বাসের সময় লাগত মাত্র ৫ মিনিট।
কিন্তু আজ ঘরমুখী মানুষের চাপে যানবাহন কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় ৫ মিনিটের এই ফ্লাইওভার পার হতে সময় লাগছে অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টা।
বিশেষ করে গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ ও কমলাপুর রেলস্টেশনমুখী সব সড়কে সকাল থেকেই তীব্র যানজট লেগে আছে।
এদিকে সকাল থেকে ঝিঁড়িঝিঁড়ি সড়কের ভোগান্তি বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। অনেকে পরিবার নিয়ে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। ভয়াবহ এই যানজটের কারণে ঠিক সময়ে বাসা থেকে রওনা হয়েও অনেকে নির্ধারিত ট্রেন ধরতে পারেননি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি, পল্টন মোড়, গুলিস্তান, কাকরাইল, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, বাংলামোটর, তেজগাঁও, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কল্যাণপুর, শ্যামলী, আসাদগেট, নিউমার্কেট, রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ, হানিফ ফ্লাইওভারসহ প্রায় সব এলাকার রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা গেছে।
এসব সড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। একস্থানেই দীর্ঘ সময় গাড়িগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সড়কে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হচ্ছে। যাত্রীরা টার্মিনালের বাইরে এসে বাসে ওঠছেন। কখনো কখনো যাত্রীদের রাস্তা থেকে টেনে টেনে বাসে ওঠানো হয়।
আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে রাখছে। এ কারণে যানজট আরও তীব্র হচ্ছে।
রাজধানী এবং এর পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টসগুলোর শ্রমিকরা বুধবার থেকেই বাড়ি যাওয়া শুরু করেছে। অনেকে পরিবারের সদস্যদের আগে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
এতে বুধবার থেকেই রাজধানী এবং এর আশপাশ এলাকার রাস্তাগুলোতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।