মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আক্রমণে ইসরাইল একচেটিয়াভাবে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। কোনো বেসামরিক স্থাপনা, তেল অবকাঠামো কিংবা পারমাণবিক কর্মসূচিতে ইসরাইল আক্রমণ করেনি। একইসঙ্গে তার প্রত্যাশা, এখানেই ইসরাইল জবাব থামবে।
সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ‘মনে হচ্ছে তারা সামরিক লক্ষ্যবস্তু ছাড়া অন্য কিছুতে আঘাত করেনি’।
এটি ছিল ওয়াশিংটনের সূক্ষ্মভাবে ইরানের মাটিতে ইসরাইলের হামলার অনুমোদন দেওয়ার জন্য সর্বশেষ প্রচেষ্টা। বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এর কয়েক ঘন্টা আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ইসরাইলের হামলার লক্ষ্যবস্তু এবং বেসামরিক ক্ষতি যেনো কম হয়, সে অনুপাতে ছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষ্য, ইরানের তেল আবিবের অভিযান শেষ। নতুন করে আর কোনো হামলার সম্ভাবনা দেখেন না তিনি। যদিও ইরান পুনরায় বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এক্ষেত্রে ইসরাইলও পাল্টা হামলা চালাতে পারে।
বাইডেন তার প্রতিক্রিয়ার শেষে বলেছেন, ‘আমার আশা এটাই শেষ’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ১ অক্টোবরের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করার জন্য ইসরাইলের অধিকারের জন্য তার সমর্থনের ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়, পাশাপাশি ইসরাইলকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কমানোর জন্য চাপ দেয়।
একইদিন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত অবিচল যে আমরা অবশ্যই এই অঞ্চলে আলোচনা এবং কূটনীতিকে এগিয়ে যেতে দেখতে হবে এবং সেটাই হবে আমাদের লক্ষ্য’।
শনিবার এক ভিডিও বার্তায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘আমি এখন নিশ্চিত করতে পারি যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে আমরা পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শেষ করেছি। হামলার লক্ষ্য সফলভাবে অর্জিত হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা ইরানে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ও সুনির্দিষ্ট স্থানে হামলা চালিয়েছি। ইসরাইল রাষ্ট্রের তাৎক্ষণিক হুমকিকে ব্যর্থ করে দিয়েছি। ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী তার মিশন পূরণ করেছে’।
ইসরাইল আরো বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ক্ষেত্রগুলো থেকে গত যে ১ অক্টোবর ইসরাইলে ইরানের সর্বশেষ হামলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, গত ১৪ এপ্রিল এর আগের হামলায়ও এসব ঘাঁটি ব্যবহৃত হয়েছিল।