স্মরণীয় নাটক, চলচ্চিত্র, কনসার্ট বা শিল্প প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের যে আলোড়ন অনুভূত হয়, তা অনেকের কাছেই পরিচিত। এবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, সংস্কৃতি উপভোগ করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এটি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বছরে ৮ বিলিয়ন পাউন্ডের আর্থিক সুফল সৃষ্টি করে।
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রভাব এবং এর আর্থিক সুবিধাগুলো পরিমাপ করার জন্য প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যে পরিচালিত একটি বড় গবেষণায় এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়েছে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ডিপার্টমেন্ট ফর কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্ট (ডিসিএমএস)। এতে সহযোগী হিসেবে ছিল ফ্রন্টিয়ার এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিওএইচও)।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার কমিশনকৃত এই পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মাঝে মাঝে, এমনকি কয়েক মাসে একবার হলেও শিল্পের কোনো ইভেন্টে অংশগ্রহণ বা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া বিভিন্ন ধরনের তাৎপর্যপূর্ণ সুবিধা দেয়। এতে ব্যাথা, দুর্বলতা, হতাশা কমানো এবং ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পাওয়ার মতো প্রভাব থাকতে পারে।
গবেষণার সহ-লেখক এবং ফ্রন্টিয়ার ইকোনমিক্সের ম্যাথিউ বেল বলেন, নাটক, মিউজিক্যাল এবং ব্যালে’র মতো পরিবেশনা-ভিত্তিক শিল্পে সম্পৃক্ত হওয়া, বিশেষত সংগীতে অংশগ্রহণ হতাশা এবং ব্যাথা হ্রাস এবং জীবনের মান উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত।
গবেষণার সহ-লেখক এবং ডব্লিওএইচও কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ডেইজি ফ্যানকোর্ট বলেছেন, শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বাস্থ্যগত ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময় এবং বাস্তব প্রভাব সৃষ্টি করে, যেমন- জ্ঞানীয় বিকাশে সহায়তা করা এবং জ্ঞানীয় হ্রাস থেকে সুরক্ষা প্রদান, মানসিক অসুস্থতার উপসর্গ কমানো এবং সুস্থতা বৃদ্ধি, ব্যথা ও চাপ হ্রাস করা এবং ওষুধের মাধ্যমে সক্রিয় হওয়া স্নায়ুবিজ্ঞানের ও শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একই রকম সুবিধা প্রদান।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সমাজে যে সুবিধা নিয়ে আসে, তার মধ্যে ফ্রন্টিয়ার ৮ বিলিয়ন পাউন্ডের যে হিসাব করেছে, তার বেশিরভাগ (£৭ বিলিয়ন) আসে মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন থেকে এবং বাকিটা কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি থেকে।