২১ জানুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার, ০৪:৫৪:১৪ অপরাহ্ন
বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০১-২০২৫
বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি

শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বকেয়া বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় শিল্পের কাঁচামাল, সার, কৃষি উপকরণ আমদানির এলসি খোলা হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাওয়া যাবে। 


বকেয়া ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ছিল গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওই সীমার মধ্যে অনেক উদ্যোক্তা ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি। যে কারণে এর মেয়াদ আবার এক বছর বাড়ানো হয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। 


সার্কুলারে বলা হয়, এই সুবিধা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণ নিয়ে এলসি খোলার ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে না। ওইসব ঋণ নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। 


জানা গেছে, উদ্যোক্তারা বিদেশের বিভিন্ন খাত থেকে সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট ও বায়ার্স ক্রেডিট নিয়ে শিল্পের কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে। এসব খাতের বৈদেশিক ঋণ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু উদ্যোক্তাদের মধ্যে অর্থের সংকট ও ব্যাংকে ডলার সংকটের কারণে ওইসব ঋণ অনেক উদ্যোক্তা সময়মতো পরিশোধ করতে পারেননি। 


যে কারণে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএম) থেকে এসব ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি করা হয়। এ বিষয়ে বিটিএমএ থেকে একটি চিঠি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়। তাদের ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ পরিশোধের সময় বাড়িয়েছে। '


সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের ফলে উদ্যোক্তারা ও ব্যাংকগুলো সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানি করা পণ্যের দায় পরিশোধ করতে এক বছর সময় পাবেন। একই সঙ্গে আগামীতে এসব ঋণের আওতায় যেসব এলসি খোলা হবে সেগুলোর বৈদেশিক দায়ও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শোধ করা যাবে। এতে উদ্যোক্তাদের নগদ অর্থের চাপ কমবে। পাশাপাশি ব্যাংকে ডলারের চাপও কমবে। তবে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানোর ফলে বাড়তি সুদ পরিশোধ করতে হবে। এতে পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে। 


শেয়ার করুন