বিপিএলের ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতলো ফরচুন বরিশাল। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো তামিম ইকবালের দল।
টস হেরে আগে ব্যাট করে পারভেজ হোসেন ইমন (৭৮*) এবং খাজা নাফের (৬৬) জোড়া ফিফটি আর গ্রাহাম ক্লার্কের (৪৪) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান পর্যন্ত পৌঁছায় চিটাগং। জবাবে বরিশালকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল। ২৪ বলে করেন ফিফটি।
দলীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রানে তামিম ফেরার পর কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় বরিশাল। তবে মিডল ওভারে দলটিকে রান তাড়ায় কক্ষপথে ফেরান ক্যারিবিয়ান ব্যাটার কাইল মায়ার্স। জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ২৫ রান দরকার ছিল বরিশালের। হাতে ৬ উইকেট। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার কাইল মায়ার্স এবং মাহমুদউল্লাহ উইকেটে থাকায় জয়টা একরকম হাতের মুঠোয়ই ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের।
১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে সমীকরণ পাল্টে দেন শরিফুল ইসলাম। ওই ওভারে কাইল মায়ার্স এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আউট করার পাশাপাশি পাঁচ রান দিয়ে চিটাগংকে ম্যাচে ফেরান শরিফুল। শরিফুলের বলে আউট হওয়ার আগে সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় ৪৬ রান আসে মায়ার্সের ব্যাটে।
১২ বলে ২০ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে রিশাদকে রেখে ১৯তম ওভারে আউট হয়েছেন নবি। ফলে শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। হুসাইন তালাতের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে বরিশালকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে যান রিশাদ। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে দুই দলের রান সমান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এমন অবস্থায় এক বল ডট দেন তানভীর ইসলাম। যদিও পরের বলে ওয়াইড দিয়ে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন তালাত।
ফলে চিটাগংকে ৩ উইকেট হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন শিরোপা ঘরে তুলল বরিশাল। বিপিএল ইতিহাসে ফাইনালে এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড। উল্টো দিকে এক যুগ পর বিপিএলে ফিরে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হলো চিটাগংয়ের। নিজেদের সবশেষ আসরে অর্থাৎ ২০১৩ সালে ফাইনালে উঠলেও ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের কাছে শিরোপা খোয়াতে হয়েছিল তাদেরকে।