হুমকির মুখে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা করবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলেছেন, ‘আপনার যা ইচ্ছা তাই করুন’। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এসব তথ্য জানিয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ) প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পেজেশকিয়ানকে উদ্ধৃত করে আরও জানিয়েছে, ‘আমরা এটা মেনে নিতে পারি না যে, তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের শুধু আদেশ দেবে এবং হুমকি দেবে। এমনকি আমি আপনার সাথে আলোচনাও করব না। আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন।’
এর আগে ট্রাম্প ইরানকে নতুন পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠান।
তবে ট্রাম্পের এ কথা বলার পর তেহরান জানিয়েছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য কোনো চিঠি পাননি।
এই ইস্যুতে ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান নয়, তারা এই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।
এদিকে তেহরানের সাথে চুক্তির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করার পাশাপাশি, ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রচারণা পুনরায় চালু করেছেন।
ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘ইরানকে দুটি উপায়ে মোকাবেলা করা যেতে পারে। সামরিকভাবে, অথবা আপনি একটি চুক্তি করুন যাতে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত থাকে।
এদিকে ইরান দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। তবে, তারা ‘নাটকীয়ভাবে’ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতা পর্যন্ত ত্বরান্বিত করছে, যা প্রায় ৯০ শতাংশ অস্ত্র-গ্রেড স্তরের কাছাকাছি বলে সতর্ক করেছে আইএইএ।