১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:১৪:৫৮ অপরাহ্ন
রাবিতে কাল শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা, আজ সার্কুলার প্রত্যাহারে দাবি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০২-২০২৫
রাবিতে কাল শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা, আজ সার্কুলার প্রত্যাহারে দাবি

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ আমলের শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার প্রত্যাহার এবং শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলন’। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 


প্রায় অর্ধযুগ পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে এই সার্কুলার প্রত্যাহার ও আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিতব্য ভাইভা স্থগিতের দাবি জানান।



সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও মানবাধিকার কর্মী রাশেদ রাজন বলেন, ‘৫ আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ছিল পূর্বের সার্কুলারে আর কোনো শিক্ষক নিয়োগ হবে না। কিন্তু আগামীকাল পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে ভাইভা ডাকা হয়েছে, সেটা যদি কার্যকর হয় তবে আমাদের বিজয় পরাজিত হবে। আওয়ামী ফ্যাসিজমের সময়ের যে সার্কুলার সেটা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো শিক্ষক নিয়োগ হবে না। বিগত সময়ের সার্কুলারে যারা যোগ্য, মেধাবী, পিএইচডিধারী তারা কেউই আবেদন করেননি কারণ তারা জানত এই সার্কুলারে তাদেরকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে না। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন পুনরায় সেই সার্কুলারেই পদার্থবিজ্ঞান বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ভাইবা নিতে যাচ্ছে। অবিলম্বে সেই সার্কুলার প্রত্যাখান করতে হবে। নাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী ফ্যাসিজম পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে।’

 

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘বিগত সময়ে অর্থনৈতিক লেনদেন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিসহ এমন কোনো অনিয়ম নেই যেগুলো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন ঘটায়নি। আওয়ামী লীগ শাসনামলের সার্কুলারে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফ্যাসিবাদী দোসরদের আবার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিপ্লব পরবর্তী প্রশাসন আগের ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের দেখানো পথেই হাঁটছে। অনতিবিলম্বে এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় সার্কুলার ও নীতিমালা সংস্কার করে যোগ্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেন।’


সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আমলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরপেক্ষ অবস্থানে না থেকে দলীয় প্রশাসনে পরিণত হয়েছিল। দলীয়করণের প্রধান কারণ ছিল অনিয়মতান্ত্রিক দলীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। ফ্যাসিস্ট আমলের সেই নিয়ম ভেঙে নতুন বাংলাদেশে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।’


সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগঠক রাবেয়া মুহিব। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মনজুরুল ইসলাম ও সজিবুর রহমান বক্তব্য দেন।  


শেয়ার করুন