০৬ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৬:১৯:১৩ অপরাহ্ন
গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগে সিংগাইর থানার ওসি ক্লোজড
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৩-২০২৫
গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগে সিংগাইর থানার ওসি ক্লোজড

গ্রেপ্তার বাণিজ্য আর থানায় ঘুষ বাণিজ্য সিন্ডিকেট  কাণ্ডে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান।


এ দিন বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মোছা: ইয়াসমিন খাতুন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। 


জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণ- অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সহস্রাধিক আওয়ামী লীগ নেতা- কর্মীর বিরুদ্ধে সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলাসহ ৪ টি মামলা দায়ের হয়। পুলিশ ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। এতে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশই মামলার এজাহারের বাহিরের। মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসেবে আটক করা হয় তাদের। এজাহারে তাদের নাম না থাকলেও আটকের পর শুধু আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থক এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহণ অপরাধে পুলিশ তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। দেয়া হয় হত্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি। 


স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, চাহিদামতো টাকা দিলেই ফাঁড়ি ভাঙচুর কিংবা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। না দিলে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আবেদন করা হয় রিমান্ডের।ওসির হয়ে এসব দায়িত্ব পালন করে থানার এসআই মোত্তালিব ও মাসুদ। ভুক্তভোগী একাধিক পরিবারের সঙ্গে কথা বললে বেরিয়ে আসে পুলিশের গ্রেপ্তার ও জমজমাট অর্থ বানিজ্যের চাঞ্চল্যকর তথ্য।


এসব বিষয়ে থানা পুলিশের গ্রেপ্তার বানিজ্য জমজমাট শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। শুরু হয় তদন্ত। অভিযুক্ত এসআই মুত্তালিব এবং মাসুদকে বদলী করার পর  তদন্ত শেষে ৪ মার্চ বিকেলে ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর কে সিংগাইর থানা থেকে ক্লোজড করে মানিকগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। অপরদিকে জেলার দৌলতপুর থানার ওসি তৌফিক আজমকে এ থানায় দেওয়া হয়। 


শেয়ার করুন