১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবার, ০২:৪৭:০৪ পূর্বাহ্ন
ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৩-২০২৫
ঈদের পর দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে রাজনীতির আলোচনার মধ্যে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাওয়া খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় আছেন দলের নেতা-কর্মীরাও। তবে তার দেশে ফেরার ব্যাপারে এখনো সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারছেন না কেউ।


তবে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়টি চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।


কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান বিএনপির চেয়ারপারসন। সেখানে তাকে নামী হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত ২৪ জানুয়ারি সেখান থেকে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন খালেদা জিয়া।


খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকেরা যেদিন উপযুক্ত মনে করবেন, সেদিন বিএনপির চেয়ারপারসন দেশে ফিরবেন।


খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে এই চিকিৎসক বলেন, খালেদা জিয়া আগের চেয়ে ভালো আছেন। ঘরের ভেতরে তিনি নিজে নিজে হাঁটাচলা করছেন। নিজ হাতে খাবারও খাচ্ছেন।


এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার দিন আনন্দেই কাটছে বলে জানান জাহিদ হোসেন।


এদিকে দলীয় সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া নিজে দেশে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে তার চিকিৎসকদের ওপর। এই অবস্থায় আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে কোনোমতেই তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই। ঈদের পরে ঠিক কখন তিনি ফিরতে পারবেন, সে সিদ্ধান্ত চিকিৎসকেরাই নেবেন। চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরছেন, তা স্থির হবে।


৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসের জটিলতাসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। দলের পক্ষ থেকে দীর্ঘ চেষ্টা-তদবির করেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকে বিদেশে পাঠানো যায়নি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। তারপরই চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি।


এর আগে চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই আরেকবার লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরের বছর দুর্নীতির মামলায় দণ্ড পেয়ে কারাগারে যেতে হয় তাকে। কোভিড মহামারি দেখা দিলে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিয়ে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দেয়। তবে কিছুতেই চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তখন বিএনপি অভিযোগ করেছিল—খালেদা জিয়াকে সরকার গৃহবন্দী রেখেছে।


শেয়ার করুন