পবিত্র রমজান মাসে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এ মাসের প্রথম ২৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে এসেছে ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫২ কোটি ডলার।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। বুধবার (২৬ মার্চ) বুয়েনস আইরেসের মনুমেন্তালে ব্রাজিলকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ব্রাজিল যেমন পায়নি নেইমারকে, তেমনি আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি খেলতে পারেননি। মেসির পাশাপাশি আকাশী নীলদের আক্রমণভাগের দুই কান্ডারি পাওলো দিবালা, লাওতারো মার্তিনেজ খেলতে পারেননি চোটের কারণে।
শুরু থেকেই আজ ব্রাজিলের রক্ষণদুর্গ কাঁপাতে থাকে আর্জেন্টিনা। ৪ মিনিটে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ। শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ব্রাজিল হজম করে আরও এক গোল।১২ মিনিটে নাহুয়েল মলিনার পাস রিসিভ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। পাস রিসিভের পর দারুন এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন ফার্নান্দেজ।
জোড়া গোল হজম করা ব্রাজিল দ্রুতই ব্যবধান কমিয়েছে। আর্জেন্টাইন এক ডিফেন্ডারের ভুলে ২৬ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত গোল করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ম্যাথুস কুনহা। ব্যবধান কমানোর পর ফের গোল হজম করে ব্রাজিল। ৩৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফার্নান্দেজের ক্রস রিসিভ করে ডান পায়ে দুর্দান্ত গোল করেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। প্রথমার্ধে ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকে আর্জেন্টিনা শেষ করেছে।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের জালে বারবার হানা দিতে থাকে আলবিসেলেস্তেরা। অবশ্য ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় আর্জেন্টিনা গোলের কয়েকটি সুযোগ হারিয়েছে। অবশেষে ৭১ মিনিটে গোলের হালি পূর্ণ করে আর্জেন্টিনা। নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর অ্যাসিস্টে গোলটি করেন গিলিয়ানো সিমিওনে।
একপেশে ম্যাচ হলেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে উত্তেজনা যে একেবারেই ছিল না, তা নয়। দুই দলের ফুটবলারদের তর্কে জড়াতে দেখা গেছে কয়েকবার। ৪-১ গোলে এগিয়ে থাকার পর হলুদ কার্ড দেখেছেন আর্জেন্টিনার রদ্রিগো দি পল ও এনজো ফার্নান্দেজ। ব্রাজিলের এনড্রিকও দেখেছেন হলুদ কার্ড। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মার্চ মাসে প্রবাসীরা বৈধ পথে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন। প্রবাসী আয়ের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি মার্চ মাসের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৬৬ কোটি ডলার। চার দিন পরে অর্থাৎ ১৯ মার্চে ব্যাংকিং চ্যানেল তথা বৈধ পথে আসা প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ২২৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে শুধু ১৯ মার্চ এক দিনেই এসেছে ১৩ কোটি ডলার। আবার ১ থেকে ২২ মার্চ তথা মাসের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪৩ কোটি ডলার, যা ২৪ মার্চে বেড়ে ২৭০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, দেশে গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে টানা সাত মাস ধরে প্রতি মাসে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া, চলতি বছরের জানুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় ৩ শতাংশ বেশি আসে। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাস (জুলাই–মার্চে) প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার।