১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১২:৫৩:১১ পূর্বাহ্ন
ইতিহাস গড়া হলো না বাবর আজমদের
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৭-২০২২
ইতিহাস গড়া হলো না বাবর আজমদের

চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানকে ৫০৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েও স্বস্তিতে ছিল না শ্রীলংকা। কারণ বৃষ্টি বাগড়ায় খেলা বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাটারদের এই নৈপুণ্য বৃথাই যাবে।  

বৈরী আবহাওয়ায় বুধবার গল টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে খেলা হয়েছে মাত্র ছয় ওভার। তাই গলের আকাশের মতোই মুখ ভার ছিল শ্রীলংকার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের।

আর তার সেই ভার মুখে হাসি ফোটালেন দলের স্পিনাররা।  ৫০৮ রানের সর্বোচ্চ লক্ষ্য জয়ের ইতিহাস গড়া হলো না বাবর আজমদের। 

দুই লংকান স্পিনার প্রভাত জয়সুরিয়া আর রমেশ মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থেমে গেছে ২৬১ রানে।

ফলে ২৪৬ রানের বিশাল জয় পেয়েছে শ্রীলংকা। এ জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।

বাবর আজম ও ইমাম-উল হকের পর আর কেউ-ই দাঁড়াতে পারেননি লংকান বোলারদের সামনে।

৫০৮ রানের তাড়ায় ২ উইকেটে পাকিস্তান তুলে ফেলেছিল ১৭৬ রান। সেখান থেকে আর ৮৫ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান।

পঞ্চম দিনে মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে ৫ উইকেটে ১৮৮ রান ছিল পাকিস্তানের। ১৩৩ বল খেলে ৭৬ রানে অপরাজিত ছিলেন বাবর আজম।

বিরতি থেকে ফিরে সপ্তম ওভারেই বাবরকে (৮১) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন জয়সুরিয়া।  এর পর বাকি সবাই আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন।

শেষের দিকে ইয়াসির শাহ ২৫ বলে ২৭ আর নাসিম শাহ ২১ বলে ১৮ রানের ইনিংস ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু করে দেখাতে পারেনি পাকিস্তান।

চতুর্থ দিনে প্রথম টেস্টের জয়ের নায়ক আবদুল্লাহ শফিক ১৬ রানে ফিরে যান।  

হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে (৪৯) চতুর্থ দিন শেষ করেন ইমাম উল হক। কিন্তু পঞ্চম দিনের শুরুতেই ফিরে যান তিনি। এর পর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ৭৯ রানের একটি জুটি গড়েন বাবর।

৩৭ রানে ব্যাট করার সময় জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হন রিজওয়ান।  এর পর পর ফাওয়াদ আলম রানআউট হন ১ রানে।  মধ্যাহ্নভোজ বিরতির আগে মাত্র ৪ রানে  সালমান আউট হন সেই জয়সুরিয়ার স্পিনে। এর পর ৮১ রানে জয়সুরিয়ার বলে সাজঘরে ফেরেন বাবরও। আর তাতেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় শ্রীলংকার জয়।

১১৭ রানে ৫ উইকেট নেন জয়সুরিয়া। এ নিয়ে টেস্টে ৬ ইনিংসে ৪ বার পাঁচ বা ততোধিক উইকেট পেলেন লঙ্কান এই বাঁহাতি স্পিনার। রমেশ মেন্ডিস ১০১ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট।

শেয়ার করুন