গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখা। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর নগরীর জিরোপয়েন্ট বড় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে সাহেব বাজার, সোনাদিঘীর মোড়, কুমারপাড়া হয়ে জিরোপয়েন্টে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,“ইসরায়েল গত সাত দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিপ্রিয় ফিলিস্তিনি জনগণের উপর বর্বরোচিত আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। আজ পুরো গাজা একটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এই নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান, ফিলিস্তিনের পক্ষে নেওয়া সাহসী অবস্থানের জন্য। একইসঙ্গে তিনি আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনে নিয়মিত ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর বিষয়টি তুলে ধরেন এবং দেশবাসীকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি ‘ঢাকা মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে স্বাগত জানান এবং জনগণকে তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান। এছাড়াও প্রফেসর গালিব ইসরায়েলে ভারতের সেনা প্রেরণ এবং ওয়াক্ফ আইন সংস্কারের নামে মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব করার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন,“ইসরায়েল নামক সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং গোটা বিশ্ব মানবতার জন্য এক ভয়ংকর হুমকি। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো একতরফা গণহত্যার বিপরীতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। একটা জাতির ওপর এভাবে দিনের পর দিন হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ও সংগঠনের কোনো টনক নড়ছে না। তাঁরা ফিলিস্তিনি মানুষের মুক্তি চান। দ্রুত স্বাধীন ফিলিস্তিন দেখতে চান।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, একটা জাতির ওপর এভাবে দিনের পর দিন হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ও সংগঠনের কোনো টনক নড়ছে না। তাঁরা ফিলিস্তিনি মানুষের মুক্তি চান। দ্রুত স্বাধীন ফিলিস্তিন দেখতে চান।
গণহত্যার দোসরদের পণ্য বাংলাদেশে আনা যাবে না। তাদের নামে চলা ব্যবসা অবিলম্বে বাংলাদেশে বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে মানুষকেও এই পণ্য কেনা থেকে দূরে থাকতে হবে। গণহত্যা বন্ধে এখনই জাতিসংঘকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, প্রকাশনা সম্পাদক ড.মুহাম্মাদ কাবিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সভাপতি, আহলেহাদীছ যুবসংঘ মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম মাদানী প্রমুখ। এই কর্মসূচিতে আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন সহযোগী আহলেহাদীছ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। হাজারো জনতার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে রাজশাহীর জিরো পয়েন্ট এক বিশাল গণজোয়ারে পরিণত হয়।