২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ০৭:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি, দেখে নিন বিস্তারিত তথ্য
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৪-২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি, দেখে নিন বিস্তারিত তথ্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিভাগগুলোতে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীদের প্রার্থীদের জন্য আবেদনপত্র জমার সুযোগ থাকছে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত। আবেদনপত্র জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে। ভর্তির যোগ্যতা ও বিস্তারিত তথ্যসহ পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি এবং প্রাথমিক আবেদনপত্রের নমুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট -তে পাওয়া যাবে। এ সংক্রান্ত অন্য শর্তাবলী সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে আগ্রহী প্রার্থীদের নিজ দায়িত্বে জেনে নিতে হবে।

আবেদনের নিয়মাবলী—

*প্রাথমিক আবেদনপত্রের সঙ্গে সকল পরীক্ষার সনদপত্র ও মার্কস সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। ভর্তির প্রাথমিক আবেদনপত্রে সরবরাহকৃত তথ্যাদি ভুল প্রমাণিত হলে আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

*চাকরিরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এমফিল কোর্সে গবেষণার জন্য ১ (এক) বছর এবং পিএইচডির জন্য ২(দুই) বছরের ছুটি পাবেন-এই মর্মে সম্মতিপত্র (নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের) অবশ্যই আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

*বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক এমফিল/পিএইচডি ফেলোদের ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। তবে চাকরিরত ফেলোদের ছুটি শেষ হলে তাদের ফেলোপিশ প্রদান করা হবে না। বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি কর্তৃক গঠিত কমিটির মাধ্যমে এমফিল/পিএইচডি কোর্সে আবেদনকৃতদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ফেলোদের নির্বাচন করা হবে।

*সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন (প্রজ্ঞাপন: শিম/শাঃ১১/৫-১(অংশ)/৫৮২, তারিখ ২.৬.২০০৯) অনুসারে ২০০১, ২০০২, ২০০৩ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০০৩ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রাথমিক আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।

ক. এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতা

১.

প্রার্থীর অবশ্যই এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে যে কোনো একটিতে ন্যূনতম প্রথম বিভাগ ও অন্যটিতে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে উভয় পরীক্ষার প্রতিটিতে ৪র্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে;

২.

কলা/আইন/সামাজিক বিজ্ঞান/চারুকলা অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহ থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান)/সমমান এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সনাতন পদ্ধতিতে যে কোনো একটিতে ন্যূনতম ৫৫% ও অন্যটিতে ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে (তবে কলা অনুষদভুক্ত ইংরেজি বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে) অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪.০০ স্কেলের মধ্যে উভয় পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে। তবে কলা অনুষদভুক্ত ইংরেজি বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় একটিতে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.২৫ ও অন্যটিতে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে;

৩.

বিজ্ঞান/বিজনেস স্টাডিজ/জীব বিজ্ঞান/ভূ-বিজ্ঞান/কৃষি/প্রকৌশল/ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সস/ফিশারীজ অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান)/সমমান এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সনাতন পদ্ধতিতে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫৫% নম্বর থাকতে হবে অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪.০০ স্কেলে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে।

৪.

এমবিবিএস/বিডিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৬০% নম্বর থাকতে হবে। চলমান পদ্ধতির অধীনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৬৫% নম্বর থাকতে হবে। ডিভিএম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৬০% নম্বর অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪ স্কেলের মধ্যে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে।

৫.

যে সকল প্রার্থীর উপরে বর্ণিত ধারা স্নাতক/স্নাতক (সম্মান)/সমমান ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো একটি শর্ত পূরণ হয় না, তাঁরা এম.ফিল. প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, যদি তাদের—

(ক) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত)/সরকারি কলেজে ৩ (তিন) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা;

অথবা

(খ) স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ৩ (তিন) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকে;

অথবা

(গ) কোনো স্বীকৃত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ৩ (তিন) বছরের গবেষণা কাজের অভিজ্ঞতা এবং সেই সাথে স্বীকৃত পিয়ার রিভিউড জার্নালে বিষয় ভিত্তিক ন্যূনতম ২ (দুই)টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে থাকে;

অথবা

(ঘ) বিদেশী প্রার্থী/বিদেশী ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীর ক্ষেত্রে নিজ দেশে/বাংলাদেশ ভিন্ন অন্য কোন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকে।

খ. পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতা—

১.

প্রার্থীর অবশ্যই এম.ফিল / সমমান ডিগ্রি থাকতে হবে

অথবা

২.

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল/সমমানের ডিগ্রিপ্রাপ্ত দেশী এবং এম.ফিল/সমমানের ডিগ্রিপ্রাপ্ত বিদেশী প্রার্থীরা পিএইচ.ডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য সরাসরি প্রাথমিক আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।

অথবা

৩.

প্রার্থীর যদি এম.ফিল বিধির ৫ ধারায় বর্ণিত ভর্তির যোগ্যতা থাকে এবং তিনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন/যে কোনো সরকারি বৃত্তি/বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ফেলোশিপ/আন্তর্জাতিক বৃত্তি/গবেষণা অনুদান অর্জন করে থাকেন, তাহলে তিনি পিএইচ.ডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।

অথবা

৪. এম.ফিল বিধির ৫ ধারার উপধারা (১) ও (২) এর ভর্তির যোগ্যতাসহ—

(ক) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত)/সরকারি কলেজে ৭ (সাত) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা;

অথবা

(খ) স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ৭ (সাত) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা;

অথবা

(গ) কোনো স্বীকৃত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ৭ (সাত) বছরের গবেষণা কাজের অভিজ্ঞতা এবং সেই সাথে স্বীকৃত পিয়ার রিভিউড জার্নালে ন্যূনতম ৩ (তিন)টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে থাকলে;

অথবা

(ঘ) বিদেশী প্রার্থী/বিদেশী ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীর ক্ষেত্রে নিজ দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকলে এবং সেই সাথে কোনো স্বীকৃত পিয়ার রিভিউড জার্নালে ন্যূনতম ৩ (তিন)টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে থাকলে প্রার্থী পিএইচ.ডি. প্রোগ্রামে ভর্তির প্রাথমিক আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।

তবে উপ-ধারা ৪ এর সকল ক্ষেত্রে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন আবেদনকারীগণের শিক্ষা জীবনের কোনো পর্যায়ে ২য় বিভাগ/শ্রেণি/সিজিপিএ ৩.০০ এর কম থাকলে ভর্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

*এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে খণ্ডকালীন গবেষণা—

ভর্তিচ্ছু প্রার্থীরা এম.ফিল./পিএইচ.ডি. প্রোগ্রামে খণ্ডকালীন গবেষক (Part-Time Researcher) হিসেবে ভর্তি হতে পারবে। খণ্ডকালীন গবেষকের গবেষণাকালীন আবশ্যিক ছুটি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে কোর্সওয়ার্কের ৫০% স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে ও ৫০% অন-লাইনে এবং পরীক্ষায় স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে ব্লেণ্ডেড পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে হবে। খন্ডকালীন গবেষণায় ভর্তি হলে গবেষককে পূর্ণকালীন গবেষণায় স্থানান্তরিত করা যাবে না।

এমফিল প্রোগ্রাম ন্যূনতম ৩ (তিন) বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬ (ছয়) বছরের মধ্যে এবং পিএইচডি প্রোগ্রাম ন্যূনতম ৫ (পাঁচ) বছর থেকে সর্বোচ্চ ৮ (আট) বছরের মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। তবে এমফিল/পিএইচডি এর অন্যান্য বিধি খণ্ডকালীন গবেষকদের জন্য প্রযোজ্য হবে। খণ্ডকালীন গবেষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো ধরনের স্কলারশীপ/আর্থিক অনুদান/নিয়মিত গবেষকের সুবিধাদি প্রদান করা হবে না। যেসব খণ্ডকালীন এমফিল গবেষক তাদের এমফিল গবেষণা বিধি মোতাবেক পিএইচডি প্রোগ্রামে স্থানান্তরিত করতে ইচ্ছুক তাদের নিয়মিত গবেষকদের জন্য প্রযোজ্য ২ (দুই) বছরের পরিবর্তে ৩ (তিন) বছরের মধ্যে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করতে হবে।

শেয়ার করুন