২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৩:৪০:৩৭ অপরাহ্ন
রাজশাহীর মোহনপুরে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৭-২০২২
রাজশাহীর মোহনপুরে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ

রাজশাহীর মোহনপুরে মারপিট মামলার আসামি জুলকারনাইন সহ পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে উঠতে দেয়নি ওই মামলার বাদিসহ তার লোকজন। তিনি আদালত থেকে জামিন হয়ে বাদির হুমকির মুখে পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে জুলকারনাইন পরিবার নিয়ে আসার খবর শুনে বাদিসহ লোকজন জুলকারনাইনের বড় ভাইয়ের বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ব্যাপক ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ের ভুক্তভোগী জুলকারনাইনের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ এনে মোহনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার নোনাভিটা গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছোট ছেলে (মানুষিক ভারসাম্যহীন) জুলকারনাইন এর সাথে প্রতিবেশী আবু তালেবের ছেলে জাহিদ হাসানের ৬ মাস আগে মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। এ মামলার জুলকারনাইন ১ মাস কারাবাসের পর জামিনে মুক্ত হন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

এঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ৫ মাস জুলকারনাইন ও তার পরিবারকে নিজের বসতবাড়ীতে উঠতে দেয়নি। এমনকি গ্রামেও ঢুকতে দেয়নি মামলার বাদি আবু তালেব ও তার ছেলে জাহিদ হাসান। জুলকারনাইন ও তার পরিবার বর্তমানে ফতেপুর বড় বোনের বাসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জুলকারনাইনের ৭ বছরের মেয়ের স্কুলে লেখাপড়াও বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এছাড়াও জুলকারনাইনকে জামিন করায় তার বড় বোন ও বড় ভাইদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জুলকারনাইন এর বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল শুক্রবার আমাদের বাড়িতে ঈদ পরবর্তী পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিলো। অনুষ্ঠানে আমরা চার ভাইয়ের মধ্যে জুলকারনাইন ছাড়া অন্য ৩ ভাই ও চার বোনের পরিবার উপস্থিত ছিলেন। হটাৎ রাত ১০ টার দিকে জুলকারনাইনকে খুজতে প্রতিবেশী জাহিদ হাসান, কার্জন, জানারুল, জালাল,শফিকুল, জুয়েলসহ ২০/২৫ জন আমাদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। একপর্যায়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে তারা বলে জুলকারনাইন কই তাকে বের করে দে। অথচ তাদের ভয়ে জুলকারনাইন দীর্ঘ ৫ মাস গ্রামে ঢুকতেই পারেনা। পরিবার নিয়ে বোনের বাসায় থাকে।

জুলকারনাইন ও জাহিদ হাসানের প্রতিবেশী নাহিদ হাসান জানান, আমরা অনেকেই জাহিদের পরিবারকে নিষেধ করেছি কিন্তু তারা কিছুই শুনেনা। গতকাল রাতের হামলার ঘটনা তিনি নিজে চোখে দেখেছে। আরেক প্রতিবেশী আব্দুল ক্বারি বলেন, পুর্বের জেরে তারা এই হামলা করেছে। তারা ২০/২৫ জন মিলে এই হামলা করেছে।

জুলকারনাইনের বড় বোন কোটালীপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষিকা হাসিনা বেগম বলেন, মামলার পর থাকেই আমার ভাই মানুষিক ভারসাম্যহীন জুলকারনাইন ও তার পরিবারকে বাসায় উঠতে দেয়নি জাহিদ বাহিনি। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। গতকাল তারা বড় ভাইয়ের ভাসাতে অতর্কিত হামলা চালায় ভাংচুর করে। তাদের অমানুষিক নির্যাতনের কারনে আমার ভাই বাড়ি ছাড়া। আমার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।

এবিষয়ে মোহনপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। জুলকারনাইন ও তার পরিবার যেন বাসায় উঠতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও শুক্রবার রাতের তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন