রাজশাহীর হড়গ্রাম মডেল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মারুফ হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে ৩০ এপ্রিল অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শরিফুল ইসলাম।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজের এক নারী প্রভাষককে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন অধ্যক্ষ মারুফ। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ৯(১) ধারায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট ভুক্তভোগীর বাসায় একা থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করেন মারুফ। এরপর বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকি দেন এবং পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় সাত বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যান। তবে বিয়ের কথা বললে অস্বীকৃতি জানান এবং নানা হুমকি ও মানসিক চাপ দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ মারুফ তার প্রভাবশালী রাজনৈতিক সংযোগ এবং আত্মীয়স্বজনদের সহায়তায় কলেজে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। এমনকি তাকে দেড় বছর ধরে সিসি ক্যামেরা লাগানো একা একটি কক্ষে বসিয়ে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য করা হয়।
অভিযোগ করেন, বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে মারুফ বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের শরণাপন্ন হচ্ছেন। যদিও মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে আগামী ৩০ জুলাই। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মারুফ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।