০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:৩৪:১৫ অপরাহ্ন
রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৮ জন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৭-২০২৫
রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৮ জন

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রার্থী সংখ্যা আট জনে পৌঁছেছে। প্রত্যেকে নিজ নিজ নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচন এলাকায় গণসংযোগ চালাচ্ছেন।


দল ইতোমধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য জনমত জরিপ শুরু করেছে। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের দুর্দিনে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলো, তাদের জনপ্রিয়তা এবারও টিকে থাকার কথা জানা গেছে। বিশেষ করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডলকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়ার পক্ষে পুঠিয়া দুর্গাপুরের জনসাধারণের একটি বড় অংশ।


তরুণ ভোটারদের দাবিতে ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন হওয়া উচিত বলেও দাবি করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক মনোনয়নপ্রার্থী তালিকায় এগিয়ে আছেন।


মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাহমুদা হাবিবা, সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফার ছেলে জুলফার নাঈম মোস্তফা, ব্যবসায়ী ইসফা খায়রুল হক শিমুল, সমাজসেবক আব্দুস সাত্তার, শ্রমিক দলের নেতা রোকুনজ্জামান আলম, যুবদলের সাবেক কোষাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফাও মনোনয়ন প্রত্যাশী।


নেতারা জানান, প্রার্থী বাছাইয়ে নির্যাতিত, ত্যাগী, সৎ ও জনপ্রিয় নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পুঠিয়া উপজেলা ও দুর্গাপুরের উন্নয়ন, দলের প্রতিষ্ঠা ও কর্মী সংগঠনে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।


নজরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির জন্য কাজ করেছি, উন্নয়ন করেছি এবং ২০০৮ ও ২০১৮ সালের মনোনয়ন পেয়েছি। আশা করছি এবারও দল আমাকে সুযোগ দেবে।”


আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “২৭ বছর ছাত্র রাজনীতি করেছি, আন্দোলনে জীবন বাজি রেখেছি। আমার পরিচ্ছন্ন ইমেজ ও সাধারণ মানুষের গ্রহণযোগ্যতার কারণে মনোনয়ন পাবো বলে বিশ্বাস।”


মাহমুদা হাবিবা বলেন, “নতুন প্রজন্মের নেতাদেরই মনোনয়ন দেওয়া উচিত, যারা দল ও সময়ের দাবিকে ধারণ করতে সক্ষম।”


জুলফার নাঈম মোস্তফা উল্লেখ করেন, “বাবার জনপ্রিয়তা ও উন্নয়নকে সামনে রেখে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী।”


অন্য প্রার্থীরা স্থানীয় জনগণের পাশে থেকে উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজ করে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় রয়েছেন।

শেয়ার করুন