ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলের মতোই সাধারণ। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে খাওয়া-দাওয়ার উপর প্রভাব পড়ে। পছন্দের রেডমিট বা অনেক প্রিয় খাবার থেকে মুখ ফেরাতে হয়। সচেতন না হলে সমস্যা বাড়ে, কারণ অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড গাঁটে ব্যথা, কিডনিতে পাথর বা স্থূলতার মতো সমস্যা সৃষ্টি করে।
তবে ওষুধের পাশাপাশি সাধারণ চারটি পানীয় নিয়মিত পান করলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শসার রস
শসার ৯০ শতাংশই পানি। এর রস পান করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা সহজেই কমে। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
একটি শসা ১/৪ কাপ পানিতে ব্লেন্ড করে প্রতিদিন সকালে তাজা রস পান করুন। এতে দারুণ উপকার পাবেন।
তরমুজের রস
তরমুজে প্রচুর পানি থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দেয়।
তাই পর্যাপ্ত পানি ও পানিপূর্ণ ফল খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তরমুজের রস নিয়মিত পান করুন।
আদা চা
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা গাঁটে ব্যথার কারণ হতে পারে। আদা চায়ের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এটি গাঁটের ব্যথা উপশম করে এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২ কাপ পানিতে এক টুকরো আদা থেঁতো করে ফুটিয়ে নিন। দিনে ২-৩ বার আদা চা পান করলে কোনও ক্ষতি নেই।
গ্রিন টি
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। গ্রিন টি এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। এতে থাকা পলিফেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে, প্রদাহ কমায় এবং ওজন বাড়তে দেয় না। দিনে ৩-৪ কাপ গ্রিন টি পান করলে সুস্থ থাকতে পারেন।