রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক কর্মচারীর ওষুধ চুরি করে নিজ পকেটে রাখছেন এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে এবং তার বিচারের দাবি জানাচ্ছেন সচেতন জনগণ।
ওষুধ চুরির ভিডিওটিতে দেখা যায়, গায়ে নীল রঙ্গের টি-শার্ট ও কালো ফুলপ্যান্ট পরিহিত রামেক হাসপাতালের একজন কর্মচারী ওয়ার্ডে ঔষুধের ট্রলিতে থাকা একটি সাদা রঙ্গের কোটা আলমারিতে রাখলেন এবং সেটি রাখার পর পুনরায় ওষুধের ট্রলিতে ফিরে এসে বেশ তাড়াহুড়ো করে দুইহাত দিয়ে তিনবারে বেশকিছু ইনজেকশন ঔষুধ তার প্যান্টের বাম পকেটে ঢুকাচ্ছে। আর অপর প্রান্ত থেকে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তিটি রামেক হাসপাতালের কোন পদে কর্মরত আছে তা এখনো জানা যায়নি।
এই চুরির ভিডিওটি রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে মঙ্গলবার রাতে আপলোড করে লিখেছেন ‘রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৩ নং ওয়ার্ড মেডিসিন ব্লকে স্টাফের ওষুধ চুরি। রুগী র ওষুধ কিনতে হয় আর সরকারি ওষুধ চুরি হয়।’
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রামেক হাসাপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ওষুধ চুরি করা কর্মচারী সকালের শিফটে ডিউটি করেছেন।
এই ঘটনার বিষয়ে (১০ আগস্ট) বুধবার সকাল পৌনে ১০ টার দিকে রামেক হাসাপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
হাসপাতালের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. আবু তালেবের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। কেউ অভিযোগও করেনি। তাই ওই ওয়ার্ডে কর্মরত কর্মচারীর নাম পদবি বলতে পারব না। তবে আমি খোঁঁজ খবর নিয়ে সবকিছু জানাতে পারব বলে জানান।