দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে টোকিওর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ের বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ 'নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ' করছে জাপান সরকার। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি এ কথা জানিয়েছেন।
চীনের 'উদ্দেশ্য' সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, 'আমরা আগ্রহের সঙ্গে এ সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।'
তিনি আরও বলেন, সরকার বারবার চীনকে জাপানের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে যে, জাপান 'শান্তিপ্রেমী জাতি' হিসেবে যুদ্ধের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি না করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে জাপান চীনের একটি বিশাল অংশ আক্রমণ করেছিল এবং ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরিয়ান উপদ্বীপে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, জাপান এবং চীন সাধারণ কৌশলগত স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক এবং গঠনমূলক ও স্থিতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার বিস্তৃত দিকনির্দেশনা শেয়ার করে নেয়।
এদিকে, জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে চীনের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য সামরিক কুচকাওয়াজে বেইজিং নতুন প্রজন্মের অস্ত্র প্রদর্শন করেছে। চীনা নেতা রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নেতাদের উপস্থিতির মাধ্যমে তাদের ঐক্য তুলে ধরেছে।