প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়া একটি 'গোপন অস্ত্র অর্জন করেছে' বলে দাবি করেছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, 'আমরা নতুন গোপন অস্ত্র অর্জন করেছি। প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান এবং গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এটি যুদ্ধ ক্ষমতার তীব্র বৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের রাষ্ট্র এবং দল দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করার ক্ষেত্রে ক্রমাগত দ্রুত উন্নয়ন অর্জন করছে।'
একই ভাষণে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবে না। তিনি উল্লেখ করেন, অনেক শক্তিই পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আমেরিকান মন্ত্রকে সমর্থন করছে। এই শক্তিগুলো উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্বকে উপেক্ষা করে এবং গুরুতরভাবে এর ওপর হস্তক্ষেপ করে।
তার মতে, পিয়ংইয়ংয়কে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান সাংবিধানিক আদেশের ওপর হস্তক্ষেপের সমান, কারণ তাদের পারমাণবিক অবস্থান দেশের মৌলিক আইনে অন্তর্ভুক্ত।
কিম বলেন, 'আমরা কি অসাংবিধানিক কাজ করতে পারি? কেন আমরা পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে রাজি হব?'
তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রস্তাবিত তিন-পর্যায়ের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ধারণারও উল্লেখ করেন, যার মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক কর্মসূচি স্থগিত করা, অস্ত্রাগার হ্রাস করা এবং সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করা।
কিম জোর দিয়ে বলেন, 'সম্প্রতি তারা এক ধরণের পর্যায়ক্রমে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ধারণাটি সামনে এনেছে, যার ফলে আমাদের সঙ্গে সংলাপের ভিত্তি তাদের নিজের হাতে ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করব না।'