০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:২৬:০১ অপরাহ্ন
মামুনের বেপরোয়া বাইকের চাপায় প্রাণ যায় একজনের
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৮-২০২২
মামুনের বেপরোয়া বাইকের চাপায় প্রাণ যায় একজনের

নাটোরে কলেজছাত্রকে (২২) বিয়ে করা আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কলেজ শিক্ষিকা-ছাত্র দম্পতির বিয়ের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ১৪ দিনের মাথায় বাসা থেকে উদ্ধার হলো ওই শিক্ষিকার মরদেহ। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন আত্মহত্যা আবার কেউ বলছেন হত্যা। তবে ঘটনার পর অসংলগ্ন কথা বলেছেন শিক্ষিকার স্বামী মামুন। এমনকি ওই ঘটনার জন্য মামুনের দিকেই আঙুল তুলেছেন নিহতের স্বজনরা। তারা মামুনকে মাদকাসক্ত বলেও দাবি করেন।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই মামুন বখাটে। মাদকের সঙ্গে জড়িত। রয়েছে তার পরিবার নিয়েও নানা জনশ্রুতি। মামুনের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পাটপাড়া গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, মামুনের গ্রামের বাড়ি ধারাবারিষা পাটপাড়া গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামুনের মায়ের প্রথম বিয়ে হয় পাশের সোনাবাজু গ্রামের শুকচাঁনের সঙ্গে। সেই সংসারে রাজু ও রায়হান নামে দুই ছেলে রয়েছে। তখন ওই এলাকার ইউপি সদস্য ছিলেন মামুনের বাবা মোহাম্মদ আলী। ওই সময়ে মামুনের মাকে মামি বলে ডাকতেন মামুনের বাবা। কিন্তু একপর্যায়ে রাজু-রায়হানকে ছেড়ে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে সংসার গড়েন মামুনের মা। এই সংসারে মামুন ছাড়াও তার বড় দুই বোন রয়েছে। বোন দুজনের বিয়েও হয়েছে।

স্থানীয়রা আরও জানান, মামুন ছোটবেলা থেকেই বেপরোয়া। ২ বছর আগে তার বেপরোয়া মোটরসাইকেলচাপায় পিষ্ট হয়ে পাশের সিধুলী গ্রামের গজেন ঘোষের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও এখনো ওই মোটরসাইকেল থানায় রয়েছে।

এর আগে বিয়ের আট মাসের মাথায় রোববার সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় স্বামী মামুনকে আটক করেছে পুলিশ। ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী জানায়, রোববার ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানায় তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।


শেয়ার করুন