 
                         
                    
                                            
                        
                             
                        
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মার মোহনায় চর দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
সোমবার দুপুরে চরের জমিতে খড় কাটার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মণ্ডল।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ দুইজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মুখপাত্র ও মেডিকেল অফিসার সংকর কে বিশ্বাস।
নিহতরা হলেন- আমান মণ্ডল (৩৬) ও নাজমুল মণ্ডল (২৬)। আহতরা হলেন- মুনতাজ মণ্ডল (৩২) ও রাবিক হোসেন (১৮)। তারা উপজেলার চরাঞ্চলের নীচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঘা উপজেলা, নাটোরের লালপুর ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সীমান্তে পদ্মার মোহনায় নিজের দখলে থাকা জমিতে খড় কাটছিলেন খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন, মুন্তাজ ও লাভলুর লোকজন।
এ সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনীর’ লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন চারজন। খবর পেয়ে বাঘার লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আমান মণ্ডল ও নাজমুল মণ্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানায় পুলিশ।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নিহার চন্দ্র মণ্ডল বলেন, মুনতাজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত শতাধিক, রাকিবের শরীরে ৮০, নাজমুলের শরীরে ৩৫ এবং আমানের মাথায়সহ শরীরের পাঁচ জায়গায় গুলির চিহৃ পাওয়া গেছে। ক্ষত দেখে ধারণা করা হচ্ছে, পিস্তল ও রাবার বুলেটের গুলি এগুলো।
খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, চর এলাকায় নিজেদের দখলে থাকা জমিতে লোকজন নিয়ে খড় কাটছিলেন তারা। এ সময় ‘কাকন বাহিনীর’ লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে।
পুলিশ পরিদর্শক সুপ্রভাত মণ্ডল বলেন, আমানের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুইজনের ময়নাতদন্ত হবে।

