২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:৩৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রেলপথ অবরোধ ৭ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১১-২০২৫
বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রেলপথ অবরোধ ৭ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেল থেকে রেলপথ অবরোধ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর রাত সোয়া ১০টায় তারা এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। তবে দাবি মেনে না নিলে রবিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে রেল ও সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।


এদিকে অবরোধের কারণে ঢাকা-রাজশাহীসহ একাধিক রুটের পাঁচটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যস্ত হয়।


ফলে প্রায় ৪ হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। 

শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন রেললাইনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহীর সঙ্গে অন্যান্য জেলার রেল যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং রাত ৮টায় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন, কিন্তু তখন তারা সাড়া দেননি।


অবশেষে রাত ১০টার দিকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ৪০ থেকে ৪৬তম বিসিএসের মধ্যে কোনো কোনো লিখিত পরীক্ষায় পিএসসি ৬ মাস, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৮ মাস কিংবা ১১ মাস পর্যন্ত সময় দিয়েছে। কিন্তু ৪৭তম বিসিএসের ক্ষেত্রে মাত্র ২ মাস সময় দিচ্ছে যা প্রথমবার অংশগ্রহণকারীদের জন্য মারাত্মক বৈষম্যমূলক।


আন্দোলন প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুব আলম বলেন, জনগণের যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য আমরা আজকের মতো রেল অবরোধ কর্মসূচি রাতের জন্য প্রত্যাহার করছি।


তবে যদি আমাদের পক্ষে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসে এবং বিসিএস এর যৌক্তিক সময়ে রুটিন প্রকাশ না করা হয় তাহলে আগামীকাল থেকে আমরা লাগাতার রেল অবরোধসহ সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচিতে আসতে বাধ্য হব।

রাজশাহী রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী-ঢাকার মধ্যে চলাচল করা আন্তঃনগর বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি হরিয়ান স্টেশনে থেমে আছে। এই ট্রেনের যাত্রী প্রায় এক হাজার। এছাড়াও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে হাজারখানেক যাত্রী নিয়ে আটকে আছে।


এ ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রহনপুর কমিউটার প্রায় ৬০০ যাত্রী নিয়ে শীতলাই স্টেশনে আটকে আছে। অপরদিকে, রাজশাহী-পাবনা রুটে চলাচল করা ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। এই ট্রেনের প্রায় ৬০০ যাত্রী রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করছে।


এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল আওয়াল বলেন, পাঁচটি ট্রেন আটকা পড়েছিল বিভিন্ন স্টেশনে। কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়নি। এসব লোকাল, কমিউটার ও আন্তঃনগর ট্রেনের ৪ হাজারের বেশি যাত্রী আটকা পড়ে আছে বিভিন্ন স্টেশনে।


শেয়ার করুন