২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:১৯:৫৬ অপরাহ্ন
শহর ও গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারসাম্য আসছে : প্রতিমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৮-২০২২
শহর ও গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারসাম্য আসছে : প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, অফিসের সময়সূচি এগিয়ে আনায় সকালের দিকে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে পিক-আওয়ার (সর্বোচ্চ চাহিদা) দিনের বেলায় চলে আসছে।

এতে রাতে গ্রামে বিশেষ করে সেচে চাহিদা অনুসারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।
বুধবার নতুন অফিস সূচির প্রথম দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে সকাল ১০টা থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ত। এটি আরও এগিয়ে আসবে। এখন সকাল ৯টায় ডেসকোর চাহিদা এক হাজার মেগাওয়াটের ওপরে চলে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে ঢাকায় চাহিদা থাকে দুপুরে; কিন্তু নতুন অফিস সূচির কারণে সেটি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।

পিক-আওয়ার সন্ধ্যায় না থেকে দিনের বেলায় চলে আসছে। ফলে গ্রাম ও শহরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে ভারসাম্য আসছে। এতে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে। তিনি বলেন, এভাবে সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে লোড ব্যবস্থাপনা করে লোডশেডিং কমিয়ে আনা হচ্ছে।

বর্তমানে আমন মৌসুম চলছে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কৃষকরা সেচের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। বিদ্যুতের ৬টি বিতরণ সংস্থা ও কোম্পানির আওতায় সেচ সংযোগ রয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩১টি। এগুলো চালাতে ২ হাজার ২২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

এজন্য সব বিতরণ সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা এবং কক্ষে ব্যবহূত ফোন ও মোবাইল ফোন নম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সময় কমিয়ে নতুন নিয়মে অফিস শুরু হয়েছে গতকাল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরকারি অফিস চলছে।

শেয়ার করুন