২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:০৩:৫৭ অপরাহ্ন
টাইগারদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকছেন কারা?
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৯-২০২২
টাইগারদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকছেন কারা?

এক এক করে ঘোষণা করা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট বোর্ড স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। হাতে সময় আছে আর এক সপ্তাহ। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে।


বাংলাদেশ দল ঘোষণা হবে কবে? কারা থাকবেন দলে? তা জানতে সবার উন্মুখ অপেক্ষা। ভেতরের খবর, এখন দল সাজানো তথা ক্রিকেটার নির্বাচনের কাজ চলছে। জানা গেছে, জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা এরই মধ্যে একটি ছক কষে অনেক দূর এগিয়েছেন।


অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন মাথায় রেখেই দল সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে। সে প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে লাগবে আরও এক সপ্তাহ। কারণ স্কোয়াড চূড়ান্ত করার আগে নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের মতামত নেওয়া হবে। তিনি জাতীয় দল ও তার আশপাশে থাকা সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের দেখতে চেয়েছেন।


সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর তিনদিন শেরে বাংলায় ক্রিকেটারদের পাখির চোখে পরখ করবেন শ্রীরাম। এতে তার ধারণা পরিষ্কার হবে। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে কথা বলে দল চূড়ান্ত করবেন। ধারণা করা হচ্ছে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই দল চূড়ান্ত হয়ে যাবে।


এখন পর্যন্ত জানা গেছে, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারই দল ঘোষণা করা হবে। আইসিসির বেঁধে দেওয়া ফর্মুলা অনুযায়ী আদর্শ দল হতে হবে ১৫ জনের। তবে স্ট্যান্ডবাই রাখা যাবে। বাংলাদেশও হয়তো তিন-চারজন স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাবে।


জানা গেছে, বাংলাদেশ দলে অন্তত ৮ থেকে ৯ জন স্পেশালিস্ট ব্যাটার থাকবেন। এশিয়া কাপে ১৭ জনের দলে প্রথমে ছিলেন মাত্র দুজন ওপেনার। পরে নাইম শেখকে নিয়ে সে সংখ্যা বাড়ানো হয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন, বিশ্বকাপে কতজন ওপেনার রাখা হবে?


এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যাদের দিয়ে ওপেন করানো হয়েছে বা যে দুজনকে ওপেনার হিসেবে খেলানো হয়েছে সেই মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান রুম্মন বিশ্বকাপে ওপেনার হিসেবেই দলে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তাদের সঙ্গে অটো চয়েজ থাকবেন লিটন দাস।


এর বাইরে আরও একজন ব্যাকআপ ওপেনারের দলভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ আরও একজন প্রতিষ্ঠিত ওপেনারকে বিকল্প ধরেই দলে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেই তালিকায় আছেন তিনজন। কাকতালীয়ভাবে সবাই বাঁহাতি নাইম শেখ, সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত।


এদের যেকোনো একজনের মূল দলে থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি। তার মানে লিটন, সাব্বির, মিরাজ ও বাড়তি এক ওপেনার ধরে ওপরে ব্যাটারের সংখ্যা হলো চারজন।


এর বাইরে ব্যাটার কোটায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, এশিয়া কাপের সহ-অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব অটোমেটিক চয়েজ। এছাড়া মিডলঅর্ডারে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ইয়াসির আলী রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহানের নাম আছে।


এখান থেকে যেকোনো একজন কাটা পড়বেন। সোহান এক নম্বর উইকেটরক্ষক। মোসাদ্দেক নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জিম্বাবুয়ের মাটিতে নেওয়া ৫ উইকেট অফস্পিনার মোসাদ্দেককে এনে দিয়েছে নতুন পরিচিতি। ব্যাটিংটাও আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত, সাজানো গোছানো এবং বুদ্ধিদীপ্ত হয়েছে।


এখন দেখার বিষয় হলো মোসাদ্দেক সৈকতের সঙ্গে কাকে নেওয়া হয়? মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ না ইয়াসির রাব্বি? তা নিয়ে আছে সংশয়। রিয়াদের অভিজ্ঞতা ও বিগ ম্যাচ টেম্পারমেন্ট ইতিবাচক। কিন্তু তার হাত খুলে খেলতে না পারা বড় মাইনাস পয়েন্ট। বয়সের ভারে রিফ্লেক্স কমে ফিল্ডিং-ক্যাচিংও দুর্বল হয়ে পড়েছে।


রিয়াদের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে যাকে ভাবা হচ্ছে, সেই ইয়াসির রাব্বি শতভাগ ফিট কি না, সেটিও দেখার বিষয়। ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন খেলার বাইরে থাকাটাও রাব্বির বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকার পথে অন্তরায় হয়ে যেতে পারে।


এর বাইরে অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের দলভুক্তিও মোটামুটি নিশ্চিত। মেহেদির বোলিং কার্যকরিতা প্রমাণিত। সাইফউদ্দিন মাঝে দুটি বড় আসরে ইনজুরি লুকিয়ে খেলেছেন বলে অভিযোগ শোনা গেলেও তার মাপা বোলিং ও ব্যাটিং সামর্থ্য বিশেষ বিবেচনায় আছে বলে জানা গেছে। তাদের দুজনেরই দলে থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি। আর সাকিবের পাশে ব্যাকআপ বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে নাসুম আহমেদও আছেন বিশেষ বিবেচনায়।


এর বাইরে পেসার কোটায় তাসাকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের থাকাও একরকম নিশ্চিত। সব মিলে হলো ১৪ জন। এখন ১৫ নম্বর সদস্য হিসেবে একজন পেসারের অন্তর্ভুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। সেখানেও তিনজনের নাম আছে। শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও হাসান মাহমুদ।


সম্ভাব্য স্কোয়াড: লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার/ নাইম শেখ/ নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ/ইয়াসির আলি রাব্বি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেন/ শরিফুল ইসলাম/ হাসান মাহমুদ।

শেয়ার করুন