১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৪৮:১৭ অপরাহ্ন
বাঘায় সুদের টাকা আদায়ে মোটর বাইক ছিনতাই
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৯-২০২২
বাঘায় সুদের টাকা আদায়ে মোটর বাইক ছিনতাই

রাজশাহীর বাঘায় মোটরবাইক আটকায়ে সুদে দেওয়া টাকা আদায়ের চেষ্টা করায় আজিজুল হক নামের একজনের বিরুদ্ধে পাল্টা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছেন মোটরবাইক মালিক জিল্লুর রহমান।

এনিয়ে বাঘা উপজেলার তুলসিপুর-খেড়ুর মোড় এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে মোটরবাইকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

জানা যায়, উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলসিপুর এলাকার ভেগু প্রমানিকের ছেলে ট্রাক চালক জিল্লুর রহমান ভটভটি চালক সমিতির কাছ থেকে শতকরা ৫% হারে সুদে ৫০ হাজার টাকা নেয়। সাত মাস আগে নেওয়া টাকার ২মাসের সুদ দিয়েছেন তিনি। পরে সুদে-আসলে বাঁকি টাকা পরিশোধ না করায় গত বুধবার জিল্লুর রহমানের মোটরবাইক আটকে দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান আজিজুল হক। দুইদিন পরে আজিজুল হক ও তার ছেলে শান্তসহ অজ্ঞাত ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে মোটরবাইক ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন জিল্লুর রহমান।

সমিতির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জিল্লুর রহমান জানান,ওই টাকা তার ট্রাক মালিক তুহিন আহম্মেদ নিয়েছে। আমি মধ্যস্ততা কারি ছিলাম। সেই টাকা না পেয়ে আমাকে জিম্মি করে মোটরবাইক ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। রাতে বাকড়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে তুলসিপুর-বাকড়া যাতায়াতের সড়কের পশ্চিমে ফাঁকা মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে মোটরবাইক নিয়ে যায়।

ছিনতাইয়ের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে ভটভটি চালক সমিতির সদস্য,বাকড়া গ্রামের ভেগু প্রামানিকের ছেলে আজিজুল হক জানান, আমার জিম্মায় সাত মাস আগে শতকরা ৫% হারে সুদে ৫০ হাজার টাকা জিল্লুর রহমানকে দেওয়া হয়েছে। ২মাসের সুদ দিয়েছেন। পরে কোন টাকা না দেওয়ায় সমিতি থেকে আমাকে চাপ দিচ্ছিল।

বুধবার বিষয়টি নিয়ে খেড়ুর মোড়ের চা ব্যবসায়ী রায়হানের দোকানে বসে কথা বলার পর, সে নিজেই তার মোটরবাইক আমার বাড়িতে রেখে আসে। তার সাথে কথা হয়েছিল টাকা পরিশোধ করে মোটরবাইক নিয়ে আসবে। পুলিশ যাওয়ার পরে জানতে পারলাম মোটরবাইক ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা হয়েছে। পরে মোটরবাইকটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।

সমিতির সভাপতি মজনুর রহমান বলেন, সদস্যর বাইরে কাউকে টাকা দেওয়া হয়না। অজিজুল হক সমিতির সদস্য। জিল্লুর রহমানের বন্ধু হিসেবে অজিজুল হক সমিতি থেকে টাকা নিয়ে জিল্লুর রহমানকে দিয়েছে। সে টাকা পরিশোধ না করে উল্টো ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছেন। জিল্লুর রহমানের ট্রাক মালিক তুহিন আহম্মেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোটরবাইক উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে সমাঝোতা না হলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মূল বিষয়টি হলো টাকা দেওয়া নেওয়াকে কেন্দ্র করে।

শেয়ার করুন