২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:১৩:৩৩ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে আদম ব্যবসায়ীর প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বশান্ত যুবক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৯-২০২২
রাজশাহীতে আদম ব্যবসায়ীর প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বশান্ত যুবক

আদম ব্যবসায়ীর প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন রাজশাহীর এক যুবক। সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিয়ে সৌদি আরবে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন দিপু (২৮) নামের ওই যুবক। এ বিষয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ গ্রহন না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়।


প্রতারণার শিকার দিপু রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম নতুনপাড়া এলাকার আনারুল হক বন্টুর ছেলে।


অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আদম ব্যবসার নেই কোন লাইসেন্স বা সরকারি অনুমোদন। এর পরও বিদেশে লোক পাঠিয়ে প্রতারণা করে আসছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার রাণীহাটি গ্রামের রেজাউল করিম কালু (৫০)। তিনি নগরীর হড়গ্রাম নতুনপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে তার নিজস্ব বাড়িও রয়েছে। এই আদম ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন কালুর ছেলে সাজিদ ও জামাতা আব্দুর রহিমও। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী ছাড়াও তাদের আদম ব্যবসা ছড়িয়েছে নাটোর পর্যন্ত। গত কয়েক বছরে তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যুবক বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগি দিপু।


প্রতারণার শিকার দিপু জানান, রেজাউল করিম কালু আমার প্রতিবেশী। অল্প খরচে সৌদি আরবে পাঠিয়ে ভাল বেতনের চাকরির লোভ দেখায় কালুর ছেলে ও জামাতা। সে হিসেবে তাদের সঙ্গে সাড়ে ছয় লাখ টাকা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী হড়গ্রাম নতুনপাড়ায় বাড়িতে গিয়ে গত বছরে তিন দফায় পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হয়। পরে উড়োজাহাজ ভাড়া বাবদ দেয়া হয় আরও দেড় লাখ টাকা।


তিনি আরও বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবে যায়। যাওয়ার পরেই বুঝতে পারলাম প্রতারণার শিকার হয়েছি। সেখানে থাকার ১৫ মাসের অনুমতি পত্র দেয়ার কথা থাকলেও দিয়েছে তিন মাসের। ভাল চাকরি দেয়ার কথা থাকলেও কাজ দিয়েছে রাজমিস্ত্রীর। ফলে সেখানে টিকতে না পেরে গত ২৩ আগস্ট দেশে ফিরে আসি। বাকি সময় চুরি করে থাকতে হয়েছে।


দিপু বলেন, আমি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা কালুকে নিয়েছি। কিন্তু তার প্রতারণার শিকার হয়ে আজ আমি সর্বশান্ত। আমি এর বিচার ও টাকা ফেরত চাই।


এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে রেজাউল করিম কালু বলেন, আমি দিপুকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলাম। তাকে রাজমিস্ত্রির কাজ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে পালিয়ে চলে এসেছে। এখন ক্ষতিপুরনের টাকা ফেরত চেয়ে অভিযোগ করেছে থানায়।


কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণার একটি অভিযোগ থানায় দিয়েছিল। এভাবে থানায় মামলা নেয়া যাবে না। তাদের আদালতে মামলার করার পরামর্শ দিয়েছিল আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেয় সেভাবেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেন ওসি।

শেয়ার করুন