১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:২২:০৬ অপরাহ্ন
প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে বাকৃবি ছাত্রীদের সড়ক অবরোধ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১০-২০২২
প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে বাকৃবি ছাত্রীদের সড়ক অবরোধ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মেয়েদের আবাসিক বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় হলের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন ওই হলের কিছু শিক্ষার্থী। এতে ময়মনসিংহের ব্রিজ মোড় থেকে সুতিয়াখালী অভিমুখী যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিনাশর্তে বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্ট মো. রফিকুল ইসলামসহ হল প্রশাসনের পদত্যাগ এবং এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে সবার সামনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়ায় প্রভোস্টের যথাযোগ্য শাস্তির দাবি করেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও সিটের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করা হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল লেভেল-৩ শিক্ষার্থীদের আগে সিট দেওয়া হবে; এর পর লেভেল-২ শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। কিন্তু এখন আমাদের লেভেল-৩ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে অবৈধভাবে লেভেল ২-এর ২০ জনকে সিট দেওয়া হয়েছে।

মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, পূজার বন্ধের আগে প্রভোস্ট স্যার আমাকে পুরাতন বিল্ডিংয়ের 'গ' ব্লকের ৩০৪ নম্বর রুমে সিট বরাদ্দ দেয়। ছুটি শেষে ৮ অক্টোবর আমি রুমে উঠি। কিন্তু আজকে হঠাৎ করে আমার রুমে প্রভোস্ট স্যারের নির্দেশে তালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে প্রভোস্ট স্যার সিট দেওয়ার ব্যাপারটা অস্বীকার করেন এবং আমার ওপর অভিযোগ করেন যে, আমি তালা ভেঙে রুমে উঠেছি। 

মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের আরেকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, আন্দোলন চলাকালীন এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে হল প্রভোস্ট তাকে সবার সামনে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি এবং ড. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেন। পরে রোববার ১২টার মধ্যে প্রভোস্ট পদত্যাগ করবে শর্তে শুক্রবার রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার করে হলে ফিরে যায়।

এ বিষয়ে ওই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু বলার নেই।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষার্থীদের হলে ফিরিয়েছি। তাদের অভিযোগ শুনেছি। সার্বিকভাবে সব বিষয় পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন