হত্যাকাণ্ডের শিকার বুয়েটছাত্র ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বলেছেন, ‘আমার ছেলে হত্যার শিকার হয়েছে। এখন নানা কথা বলে মামলাটাই পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আগাম কথাবার্তা বলা উচিত নয়।’
বৃহস্পতিবার ডিবি কার্যালয়ে ছেলে হত্যার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কাজী নূরউদ্দিন রানা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
র্যাবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘রায়হান গ্যাংয়ের সঙ্গে আমার ছেলের কী নিয়ে বিরোধ থাকবে? বুঝলাম সে (রায়হান) একটা খারাপ মানুষ। কিন্তু আমাকে বোঝান— আমার ছেলেটাই কেন তার টার্গেটে পড়বে? সে কেন ওখানে (চনপাড়ায়) যাবে? কীভাবে সম্ভব সেটি! কোন তথ্যের ভিত্তিতে দেখাবেন সেখানে আমার ছেলেটা মুভ করেছে? সে যদি সেখানে না থেকে থাকে, তা হলে এসব বলার অর্থ কী?’
মামলায় কোনো মোটিভ পাওয়ার বিষয়ে তদন্ত সংস্থা কিছু জানিয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে নূরউদ্দিন রানা বলেন, ‘না, আমাকে সে রকম কিছু জানানো হয়নি। তারা (ডিবি) আমাকে ডেকেছে— ছেলের পড়াশোনা, বয়স, মাদকে জড়ানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছে। সে মুক্তমনা ছিল কিনা, যেসব জায়গায় গেছে, সেসব জায়গায় অন্য কোনো বন্ধু রয়েছে কিনা— এসব বিষয় জানতে চেয়েছে।’
৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বাদী হয়ে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় বুশরাকে গ্রেফতারের পর ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে ইতোমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার কাছ থেকে খুনের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে ডিবি জানায়।