২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:০৪:১৫ অপরাহ্ন
রাজশাহী নগরী ঘুরে মুগ্ধ দেশবরেণ্য গুণীজনেরা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১১-২০২২
রাজশাহী নগরী ঘুরে মুগ্ধ দেশবরেণ্য গুণীজনেরা

রাজশাহী আগত দেশবরেণ্য বিশিষ্টজনেরা শনিবার মহানগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছেন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, রাজশাহী কলেজ, সরকারি রেশম কারখানা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ.টি.এম ফজলে কবীর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, লেখক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ খান এবং শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও লেখক অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী।

এরআগে শুক্রবার রাতে তাঁদের নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও সড়কের আলোকায়ন ঘুরে দেখান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। শনিবার বিকেলে বিমানযোগে রাজশাহী ত্যাগ করেন অতিথিরা। রাজশাহী মহানগরী পরিদর্শন করে এই নগরীর পরিচ্ছন্নতা, উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়েছেন দেশবরেণ্য গুণীজনেরা।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি. এম খায়রুল হক বলেন, এরআগে ২০১৫ সালে রাজশাহীতে এসেছিলাম। ২০২২ সালে আবার এসেছি। রাজশাহী মহানগরীর অনেক পরিবর্তন। রাজশাহী উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। মেয়র মহোদয় অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। এতো পরিস্কার শহর বাংলাদেশে আর কোথাও দেখিনি। রাস্তার মাঝে সড়ক বিভাজকে রঙবেঙরের ফুলে সাজানো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক যত্ন ও পরিকল্পনা করে সাজানো শহর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, রাজশাহীর ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। শুধু অবকাঠামো নয়, আত্মার পরিবর্তনও ঘটেছে। রাজশাহী সিটি মেয়রের আমন্ত্রণে এসে নগরীকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। নগরীর রাস্তাঘাট বড় হয়েছে, সবুজ বেড়েছে। রাজশাহী অনুকরণীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য সিটি মেয়রেরা রাজশাহীকে অনুসরণ করতে পারেন।

প্রখ্যাত সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, রাজশাহীতে এরআগেও এসেছি। এবার এসে স্বপ্নের নগরীর মতো মনে হয়েছে। দিনের রাজশাহী এক রকম, রাতের রাজশাহী আরেক রকম। ঐতিহ্যবাহী শহর রাজশাহীতে এসে মনে হয়েছে ইতিহাসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। অতীতে এখনকার মানুষের মুখে বিমর্ষ ভাব ছিল, এখন মানুষের মুখ উজ্জ্বল।

শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও লেখন অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী রাজশাহীকে প্রশান্তির নগরী উল্লেখ করে বলেন, ১৮৯২ এর নভেম্বরে রাজশাহী শহরে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর ১৯২৮ সালে আরেকবার আসেন তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি যতবার রাজশাহীতে এসেছেন ততোবার তিনি রাজশাহীর নদী-প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন, তার মন ভালো হয়েছে। রাজশাহীর ঐতিহ্যেও সাথে জুড়ে রয়েছে শিক্ষানগরীর খেতাব। অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় রাজশাহীর সন্তান। ইতিহাস ঐতিহ্যের নগরী রাজশাহী। এই শহরে যে একবার এসেছে সে আর ফিরে যেতে পারেনি। শহরের প্রেমে তারা পরিবার নিয়ে এখানেই বসত গড়ে তুলেছেন। এই ভূমিতে জন্মেছেন রাজশাহীর কৃতি সন্তান শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা। রাজশাহীকে বিশ^দরবারে তুলে ধরতে এই মানুষটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) নগর ভবনে গ্রিনপ্লাজায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে দেশবরেণ্য ৬জন কর্মকৃতীময় গুণীজনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

সংবর্ধিত গুণীজনেরা হলেন, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ.টি.এম ফজলে কবীর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, লেখক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ খান এবং শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও লেখক অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ অনুপস্থিত থাকায় তাঁর নিকট প্রেরণের জন্য তাঁর প্রতিনিধিকে উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন