০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:১৯:৫৭ অপরাহ্ন
মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এলাকাবাসীর জন্য পুলিশের ৭ নির্দেশনা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১২-২০২২
মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এলাকাবাসীর জন্য পুলিশের ৭ নির্দেশনা

দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু হচ্ছে আগামী ২৮ ডিসেম্বরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। শুরুতে চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। মেট্রোরেল সেবার প্রথম ট্রেনটি চালাবেন একজন নারী চালক।

উদ্বোধনীর দিনে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ী পর্যন্ত মেট্রোরেলসংলগ্ন এলাকার ভবনের বাসিন্দাদের জন্য সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্টোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশ।

গত ৬ সেপ্টেম্বর দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্যকেন্দ্র উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
 
ডিএমপির সাত নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কোনো ভবন বা ফ্ল্যাটে ২৯ ডিসেম্বরের আগে নতুন ভাড়াটিয়া উঠতে পারবেন না;
২. কোনো বাণিজ্যিক ভবনে ২৮ ডিসেম্বরে নতুন কোনো অফিস, দোকান, রেস্তোরাঁ খোলা যাবে না;
৩. ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলসংলগ্ন কোনো ভবনের বেলকনি ও ছাদে কাপড় শুকাতে দেওয়া যাবে না এবং কেউ দাঁড়াতে পারবেন না;
৪. ওইসব এলাকার ভবন বা ফ্ল্যাটে ওই দিন কোনো ছবি বা ফেস্টুন লাগানো যাবে না;
৫. মেট্রোরেলসংলগ্ন কোনো ভবনের বাণিজ্যিক এলাকার বা আবাসিক হোটেলে ২৮ ডিসেম্বর কেউ অবস্থান করতে পারবেন না;
৬. আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ী পর্যন্ত এলাকার কোনো ভবন বা ফ্ল্যাটে যদি বৈধ অস্ত্র থাকে, তা ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দিতে হবে;
৭. মেট্রোরেলের দুই পাশের সব ব্যাংক বা এটিএম বুথ ২৮ ডিসেম্বর সকাল থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

মেট্রোরেলে চলাচল
 মেট্রোরেলের স্টেশনে লিফট, এস্কেলেটর ও সিঁড়ি দিয়ে ওঠা যাবে। তিনতলা স্টেশন ভবনের দ্বিতীয় তলায় টিকিট কাটার ব্যবস্থা, অফিস ও নানা সরঞ্জাম থাকবে, যাকে বলা হচ্ছে কনকোর্স হল। তিনতলায় থাকবে রেললাইন ও প্ল্যাটফরম। শুধু টিকিটধারী ব্যক্তিরাই ওই তলায় যেতে পারবেন। দুর্ঘটনা এড়াতে রেললাইনের পাশে বেড়া থাকবে। স্টেশনে ট্রেন থামার পর বেড়া ও ট্রেনের দরজা একসঙ্গে খুলে যাবে। আবার নির্দিষ্ট সময় পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হবে।

মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে ছয়টি কোচ রয়েছে। এর মধ্যে দুই প্রান্তের দুটি কোচকে বলা হচ্ছে ট্রেইলর কার। এতে চালক থাকবেন। এসব কোচে ৪৮ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন। মাঝখানের চারটি কোচ হচ্ছে মোটরকার। এতে বসার ব্যবস্থা আছে ৫৪ জনের।

সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবেন ৩০৬ জন। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবেন। পুরোদমে চালুর পর মেট্রোরেল ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহণ করবে বলে প্রকল্পে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন