নওগাঁয় বৈদ্যুতিক মিটার চুরির সাথে জড়িত আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে মিটার চুরির কাজে ব্যবহৃত ৬টি মোবাইল ফোন একং একটি বৈদৃ্যুতিক মিটার উদ্ধার করা হয়েছে।
নওগাঁর ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো: গাজিউর রহমান সোমবার দুপুর আড়াইটায় জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান এই চক্র নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভন্ন বয়লার চাতাল, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মিটার চুরি করে মোবাইল নম্বর রেখে আসতো। এই মোবাইল নম্বরে বিকাশ ও অন্যান্য মাধ্যমে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবী করে থাকে। টাকা দিলে পুনরায় মিটারটি মালিকের নিকট ফেরত দিয়ে দিত।
এরই ধারবাহিকতায় সম্প্রতি মহাদেবপুর উপজেলাধীন গোপিনাথপুরের একটি রাইসমিল থেকে ১টি, ঘোষপাড়া লেদ মেশিন ঘর থেকে ১টি এবং কুঞ্জবন লেদ মেশিন ঘর থেকে আরও একটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। যথারীতি তাদের নিকট থেকে চাঁদা দাবী করা হয়। এ ব্যপারে পুলিশকে জানালে পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহন করে। নওগাঁ এবং মহাদেবপুর পুলিশের একটি টীম প্রথমে নুর ইসলাম ও অন্তর নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব পালের নেতৃত্বে গত ৯ জানুয়ারী রাতে নওগাঁ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নওগাঁ শহরের আনন্দনগর মহল্লার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো: মাসুদ রানা (৩২), আনন্দ নগর পশ্চিম পাড়া’র ইসলাম মন্ডলের পুত্র মো: শহিদ মন্ডল (৩২) ও হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ হারুনুর রশিদ (২৫), কাদোয়া বটতলা পশ্চিম পাড়া’র রাজু সরদারের ছেলে মো: রবিন সরদার (২৫) ও মো: আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো: আশিক (২৩), চকরামপুর মিথ্যাপাড়া’র কিনা েেহাসেনে ছেলে মো: ইউসন হেসেন (২৪) এবং জয়পুর হাট জেলার শিমুলিয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩০)’কে গ্রেফতার করে।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন এই রচক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করার ফলে আসন্ন বোরো মওসুমে সেচ প্রকল্প সমূহের মিটার চুরির হাত থেকে কৃষকরা নিষ্কিৃতি পেয়েছেন। মিটার চুরির ফলে ক্ষতির হাত থেকে তাঁরা রক্ষা পেলেন।
এ সময় মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব পাল এবং মহাদেবপুর থানার াফিসার্স ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।