টঙ্গীর কহর দরিয়াখ্যাত তুরাগতীরে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে মুসল্লিম উম্মাহর সুদৃঢ় ঐক্য, কল্যাণ, নিরাপত্তা ও শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হয় প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।
ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে নফল ইবাদত, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির আসকার ও মুরব্বিদের বয়ান শোনার মাধ্যমে চলছিল তাদের কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার থেকে রোববার দুপুর নাগাদ ময়দানে আট মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোরে আনিসুর রহমান (৭১) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকার বংশালের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ময়দানের ১৮ ও ১৯নং টয়লেটের জিম্মাদার ছিলেন।
রোববার ভোরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া ইজতেমা চলাকালে আরও সাত মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন—খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার মলমলিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে মুফাজ্জল হোসেন খান (৭০), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানা সদরের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৭০), নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার মাসিমপুর গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে হাবিবুর রহমান হাবি (৭০), সিলেটের জৈন্তাপুরের নুরুল হক (৬৩), ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাবিবুল্লাহ হবি (৬৮), গাজীপুরের ভুরুলিয়ার আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব (৯০) ও ঢাকার মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরের আক্কাস আলী শিকদার (৫০) মৃত্যুবরণ করেন।
ময়দানে নামাজ শেষে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়দানে লাশের জিম্মাদার মাওলানা মুহাম্মদ শাকের।